অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে প্রতিটি নতুন চরিত্রই চ্যালেঞ্জিং। এক একটি ফিল্মে এক একরকমভাবে নিজেকে ভেঙে গড়ে তুলতে হয় তাদের। একটি চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেদের তৈরি করেন তারা- সে কথা অনেক সময় নানা সাক্ষাৎকারে সামনে এসেছে। তবে কয়েকটি দৃশ্য শ্যুট করতে গিয়ে চিরজীবনের মতো সেই অভিজ্ঞতা মনে দাগ কেটে যায়। তেমনই ঘটেছিল অনুশকা শর্মা এবং আলিয়া ভাটের সঙ্গে। ধর্ষণের দৃশ্য শ্যুট করতে গিয়ে বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন তারা। যা দীর্ঘদিন অবসাদে ভুগিয়েছে তাদের।
Advertisement
এই দুই অভিনেত্রী জানান, শ্যুটিংয়ের পর গোটা বিষয়টি মানসিকভাবে খুব চাপ সৃষ্টি করেছিল তাদের মধ্যে।
অনুশকা শর্মার বলেন, ‘এনএইচটেন’ ছবিতে আমার শ্লীলতাহানির একটি দৃশ্য ছিল। রিয়্যালিস্টিকভাবে দৃশ্যটি শ্যুট করার কথা। তেমনটাই করেছিলাম। কিন্তু তারপর আমি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলাম। অভিনয় করছি জানি, তবুও খুব খারাপ লেগেছিল। দুঃখ হয়েছিল। বাস্তব জীবনে শ্লীলতাহানি হওয়ার খানিকটা অনুভূতি হয়তো পেয়েছিলাম। যার জন্যই নিজেকে সামলাতে পারিনি।
অন্যদিকে একই অভিজ্ঞতা আলিয়া ভাটের। ‘উড়তা পঞ্জাবে’র গণধর্ষণের দৃশ্যে বেশ অ্যাফেক্টেড হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শ্যুটিংয়ের আগে টেকনিক্যালিটি বোঝার সময় নায়িকার কোনো সমস্যা হয়নি। কীভাবে শ্যুট হবে, কী করতে হবে, সবটাই বুঝে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ছবির শ্যুটিংয়ের সঙ্গে বাস্তব জীবন রিলেট করার পরই আলিয়ারও অানুশকার মতোই অনুভূতি হয়েছিল। দৃশ্যটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্যুট শেষ করে ফেলতে চাইছিলেন তিনি।
Advertisement
ওইদিনের পরে সেটে গিয়েও আনকমফর্টেবল ফিল করতেন বলে জানান আলিয়া।
এমবিআর/পিআর