অর্থনীতি

কাট্টালি টেক্সটাইলের লেনদেন শুরু সোমবার

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা কাট্টালি টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন সোমবার (১২ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে।

Advertisement

‘এন’ গ্রুপের আওতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির লেনদেন কোড হবে ‘কেটিএল’ এবং কোম্পানি কোড হবে ১৭৪৮০। রোববার (১১ নভেম্বর) ডিএসই থেকে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

যন্ত্রপাতি ক্রয়, ডরমিটরি ভবন নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ, জেনারেটর স্থাপন, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খাতের খরচ মেটাতে গত জুনে কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অবশ্য আইপিও অনুমোদনের আগেই কাট্টালি টেক্সটাইলের বেশকিছু বিষয়ে আপত্তি তোলে ডিএসই। কাট্টালি টেক্সটাইলের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বিক্রয় হয়েছে বলে প্রসপেক্টাসে তথ্য প্রকাশ করে। আর এ বিক্রয়ের সত্যতা যাচাইয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটির কাছে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এলসি ডকুমেন্টস, ভ্যাট ও টেক্সের ডকুমেন্টস চাওয়া হয়। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় বলে ডিএসইর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Advertisement

একই সঙ্গে বিক্রয়জনিত পণ্যের ব্যয় হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দেখানো হয়। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এর স্বপক্ষে প্রমাণ হিসাবে যথাযথ ডকুমেন্ট দিতে পারেনি বলে ডিএসইর প্রতিবেদনে বলা হয়।

এ ছাড়া আরও কিছু বিষয়ে আপত্তি তুলে ডিএসইর রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটি অভিমত দেয়, বিক্রয়, বিক্রয়জনিত ব্যয়, অর্থ প্রদান ও গ্রহণবাবদ কাট্টালি টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটি আইপিও অনুমোদন পাওয়ার যোগ্য নয়।

ডিএসইর এ আপত্তির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয় বল দাবি করে বিএসইসি।

এ বিষয়ে গত ৩০ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানায়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী, যে কোনো কোম্পানির আইপিও আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে এক্সচেঞ্জের চূড়ান্ত সুপারিশ কমিশনে দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্টক একচেঞ্জসমূহ ওই সময়ের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ দাখিল করে থাকে। পরবর্তিতে বিএসইসি স্টক একচেঞ্জেসমূহের সুপারিশ উল্লেখিত আপত্তিসহ অন্যান্য তথ্যের ঘাটতি থাকলে, অধিকতর বিস্তারিত পর্যবেক্ষণসহ সামগ্রিক ঘাটতি পূরণকল্পে প্রমাণাদি দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ঘাটতি পত্র ইস্যু করে থাকে। অতঃপর আবেদনকারী কোম্পানির তথ্য ও কাগজপত্রের যথাযথ ঘাটতি পূরণ ও যাচাই সম্পন্ন হলেই কমিশন কোনো আবেদনকারী কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব তথ্য বা দলিল ঘাটতির কারণে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিওর বিপক্ষে গত ২৫ মার্চ সুপারিশ করেছিল, তা পরবর্তীতে কোম্পানি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রমাণাদি ও কাগজপত্রের ভিত্তিতে পূরণ হয়। এতে কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে ২৬ জুন ওই আইপিও অনুমোদন করে। এমনকি চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিওর পক্ষে চূড়ান্ত সুপারিশ করে।

বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে কাট্টালি টেক্সটাইল বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণ করে গত ২৮ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর পর গত ৪ অক্টোবর আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়ার জন্য কোম্পানিটির আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

১০ টাকা অভিহিত মূল্য কোম্পানিটি আইপিওতে ৩ কোটি ৪০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়েছে। কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে পালন করেছে এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

এমএএস/এএইচ/পিআর