দিন দিন শরীর ফুলে যাচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাকিবের। এ দেখে এলাকার অনেকেই সন্দেহ করছেন তার কিডনির সমস্যা হতে পারে। পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে তাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বাবা মা। সেখানকার ডাক্তার সাকিবকে দেখেই দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন। দিনাজপুরে সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানান তার দুটি কিডনিই নষ্ট হওয়ার পথে।
Advertisement
সাকিব দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়া পাড়া গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। সে বলদিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সমাপনী মডেল টেস্ট পরীক্ষায় 'এ' গ্রেড পেয়েছে সে। সাকিবের বাবা ভ্যানচালক। তার মা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
সাকিবের বাবা ভ্যানচালক সামছুল হক জানান, দিনাজপুরের ডাক্তার বলেছেন সাকিবের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাকে নাকি ডায়ালাইসিস করতে হবে। ডাক্তার বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসা শুরু করতে হবে, না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না।
তিনি জানান, আমি একজন ভ্যানচালক। এলাকায় সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ২শ টাকার মতো আয় হয়। সেই টাকা তার জন্য ওষুধ কিনতেই শেষ হয়ে যায়। সংসারও চালাতে পারি না ভালোভাবে। পরিবারের অভাব দেখে সাকিবের মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতে গেছে। সে মাসে যে টাকা পাঠায় সব টাকা দিয়ে সাকিবের জন্য ওষুধ কিনি। জানি না ছেলেটাকে বাঁচাতে পারবো কীনা?
Advertisement
ছেলেকে বাঁচাতে তিনি হৃদয়বানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর ০১৭১৭-৮৭৮৯৫৭।
এমএএস/পিআর