জাতীয়

সিরিজ বোমা হামলা বার্ষিকী পালন

দেশ থেকে জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনের শপথের মধ্যদিয়ে পুরো জাতি আজ (সোমবার) ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা বার্ষিকী পালন করেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামায়াতে মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এদিন দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলার পাঁচশ’ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায়। এ বোমা হামলায় দু’জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছিলেন।র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ জানান, হামলার পর সারাদেশে ৬৬০ জেএমবি সদস্যকে আসামি করে মোট ১৬১টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১০৩টি মামলা ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বাকি ৫৮টি মামলার বিচার কাজ এখনো চলছে।সূত্র জানায়, মামলার আসামিদের মধ্যে ১৫ জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড, ১১৮ জনকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড, ১১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১১৮ জন বেকসুর খালাস পেয়েছে।সর্বশেষ ১০ আগস্ট ঢাকা কোর্টের এক মামলায় গাজীপুর জেলার ৯টি স্থানে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিস্ফোরক মামলায় ১৭ জেএমবি সদস্যকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মাহমুদ বলেন, জেএমবির প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির নেতাদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করতে সমর্থ হওয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটির কার্যক্রম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এ সংগঠনের কর্মীরা বিভিন্ন নামে এখনো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু র্যাবের প্রত্যেক ব্যাটেলিয়নের জঙ্গি বিরোধী শাখা তাদের ধরতে সক্রিয় রয়েছে এবং দেশের মধ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার মতো শক্তি তারা পাবে না।ঝালকাঠি জেলার দু’বিচারক হত্যা মামলায় জড়িত থাকার দায়ে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান, তার প্রধান সহকারী সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানী, জেএমবি নেতা আব্দুল আওয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সালাউদ্দিনের মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়।আরএস/এমআরআই

Advertisement