যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সৃষ্ট দাবানল দু’দিনেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো ভয়ানক শুষ্ক গরম আর ঝোড়ো হাওয়ায় আগুন আরও ছড়িয়েছে। প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে আপাতত অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
Advertisement
বাড়ি-ঘর-সম্পত্তি পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। পুলিশ জানিয়েছে, শুধুমাত্র প্যারাডাইসেই মারা গেছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে চারটি মৃতদেহ মিলেছে গাড়িতে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবার সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের। বাকি ৫ জনকে পাওয়া গেছে, তাদেরই পুড়ে যাওয়া বাড়ির সামনে। অনেকেই জ্বলন্ত জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা প্যারাডাইস শহরে নিখোঁজ প্রায় ৩৫ জন। তারা এখন কোথায়, কীভাবে আছেন- জানাতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার আগুনের তাপ লেগেছে হলিউডেও। ইতোমধ্যেই পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে প্যারাডাইস শহর। এছাড়া অভিজাত সৈকত শহর ম্যালিবুর ১২ হাজার বাসিন্দার প্রায় সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যেখানে লেডি গাগা, কেটলিন জেনার, অ্যালিসা মিলানো, রেন উইলসন, কিম কার্দিশিয়ান ওয়েস্ট, কোর্টনি কার্দিশিয়ানের মতো তারকারাও বাস করেন।
হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথ থাকেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ক্যালাবাসাসে। আপাতত তিনিও ওই শহর ছেড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘এই প্রথম আগুন দেখতে পেলাম। শিখাটা বাড়ির কাছে আসছে। আমাদের বাড়ি ওখানেই। যদিও এখনই ‘ইভ্যাকুয়েশন জোনে’ নেই আমরা। তবে এই দৃশ্য দেখতে একটুও ভাল লাগছে না। তাই আপাতত শহর ছাড়ছি। আগুন দেখে তার মেয়ে খুবই ভয় পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘মেন ইন ব্ল্যাক’ছবির এই তারকা।
Advertisement
শুধু তারকাদের বাড়িই নয়, বিভিন্ন হলিউড সিনেমা ও টিভি সিরিজের শুটিংয়ের জন্য পরিচিত প্যারামাউন্ট র্যাঞ্চের ঐতিহাসিক ‘ওয়েস্টার্ন টাউনও’পুড়ে গেছে। ৯০ বছর ধরে বহু হলিউড সিনেমার শুটিং হয়েছে সেখানে। আগুনে কত হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি, তা হিসেব করা যায়নি এখনও।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আগুন নিভাতে ৩ হাজারের বেশি দমকলকর্মী দিন-রাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্যাম্প ফায়ার, উলজে ফায়ার এবং হিল ফায়ার- এ তিন ধরনের আগুনের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।
এমএমজেড/এমএস
Advertisement