খোদ বায়ার্ন সমর্থকরাও বোধহয় এখন আর নিজেদেরকে বর্তমান জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়ন বলতে চাইবে না। অথচ মৌসুমের শুরুটা কি দারুণভাবেই না করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাসিকোতে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে রীতিমতো দিশেহারা হলো নিকো কোভাকের দল।
Advertisement
মার্কো রয়েসের দলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে হেরে টেবিলের চার নম্বরে নেমে গেল তারা। শীর্ষে থাকা ডর্টমুন্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান গিয়ে দাঁড়াল সাতে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ডর্টমুন্ডের সাবেক ফুটবলার রবার্ট লেভেন্ডোভস্কি ম্যাচে গোলের খাতা খুলেন ২৬ মিনিটে। গ্নাবরির কাছ থেকে রাইট উইং থেকে বল পেয়ে হেড থেকে গোল করে বায়ার্নকে শুরুতেই এগিয়ে দেন পোলিশ এই স্ট্রাইকার।
বিরতি থেকে ফিরে যেন স্বরূপে ফিরে ডর্টমুন্ড। ৪৮ মিনিটে নয়্যার ডি বক্সের ভেতর রয়েসকে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান রয়েস। এর ঠিক চার মিনিট পরেই ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মত বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লেভেন্ডোভস্কি। এবার বলের যোগানদাতা কিমিখ।
Advertisement
পিছিয়ে পড়েও যেন ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মপ্রত্যয়ী ছিল ডর্টমুন্ড। তাইতো আক্রমণের পর আক্রমণ করে ৬৭ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আবারও ম্যাচে ফেরান মার্কো রয়েস। মৌসুমে লিগে এটি তার ৮ম গোল।
তবে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি আসে মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনা থেকে ডর্টমুন্ডে আসা স্প্যানিশ স্ট্রাইকার পাকো আলকাসারের পা থেকে। ৭৪ মিনিটে ভিটসেলের মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বলে নয়্যারকে বোকা বানিয়ে দারুণ চিপে গোল করে ডর্টমুন্ডকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই গোল মেশিন। এই মৌসুমে মাত্র ২৬০ মিনিট খেলে ৮ গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ডর্টমুন্ডের জালে লেভেন্ডোভস্কি আরও একবার বল জড়ালেও লাইন্সম্যান অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন। ফলে ৩-২ ব্যবধানের হার নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো বায়ার্নকে। এই হারের ফলে বায়ার্ন কোচ নিকো কোভাকের উপর চাপ আরও বাড়ল বৈকি।
আরআর/এসআর
Advertisement