বাংলাদেশে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) বাস্তবায়ন শুরু হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আলোচকরা।
Advertisement
শনিবার (১০ নভেম্বর) ‘টেকসই নগর ও জনবসতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর বাংলা মটরের প্লেনার্স টাওয়ারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লেনার্স (বিআইপি) আয়োজিত ‘বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান’ বিষয়ক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. সামসুল আলম বলেন, ‘এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হতে বড় ভূমিকা পালন করবে। আর যদি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে এসব লক্ষ্যে পৌঁছানো খুবই দূরহ হবে।’
ড. সামসুল আলম বলেন, ‘যে জাতির ১০০ বছরের পরিকল্পনা থাকে, সে জাতির উন্নতি কেউ আটকে রাখতে পারবে না। এ কথা সত্যি যে, “ডেল্টা প্ল্যান ২১০০” ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বর্তমান প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ উপহার। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে গৃহহীন মানুষের হার অনেকাংশে কমে আসবে।’
Advertisement
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা। যে দেশের এমন পরিকল্পনা থাকে, সে দেশের অগ্রগতি কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। বাংলাদেশের অগ্রগতিও কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।’ তবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের পরিকল্পনাবিদদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি জানান।
বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক এ কে এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে এবং বিআইপির সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও অংশ নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিন, বিআইপির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফজলে রেজা সুমন, ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির প্রধান হাসিনা মোশরফা প্রমুখ।
এএস/এসআর
Advertisement