ফার্নিচার বা আসবাবপত্রের জন্য সেগুন কাঠের জুড়ি নেই। প্রতিটি পরিবারের প্রথম পছন্দ এই কাঠ। তাই দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই রোপণ করা হচ্ছে সেগুন গাছ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন-
Advertisement
পরিচিতি: সেগুন একটি বৃহদাকার পর্নমোচি বা পাতাঝরা উদ্ভিদ। এর উচ্চতা ২০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tctona grandis।
নিবাস: সেগুন গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া। তবে দক্ষিণ এশিয়া ছাড়াও বর্তমানে এ গাছ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে রোপণ করা হচ্ছে।
> আরও পড়ুন- লতাকস্তরী থেকে তৈরি হচ্ছে ক্যান্সারের ওষুধ
Advertisement
বৈশিষ্ট্য: সেগুন গাছের কাঠ খুবই শক্ত, টেকসই, দৃঢ় এবং পালিশযোগ্য। প্রথম কাটা কাঠ সোনালি হলুদ বর্ণের, ক্রমে তা গাঢ় রং ধারণ করে।
আসবাবপত্র: ঘর বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র তৈরি করতে এ কাঠের ব্যবহার বেশি।
জোগান: পৃথিবীর মোট সেগুন কাঠের জোগানের এক তৃতীয়াংশ আসে মায়ানমার থেকে।
রোপণ: ১৮৭১ সালে চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে এ গাছ প্রথম রোপণ করা হয়। বর্তমানে দেশের প্রায় সব জায়গায়ই উন্নতমানের কাঠের গাছ হিসেবে এটি রোপণ করা হচ্ছে।
Advertisement
এসইউ/এমএস