খেলাধুলা

বাউন্সারের আঘাতে হাসপাতালে পাকিস্তানের ইমাম-উল হক

২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল তখন পাকিস্তান। দুই ওপেনার ফাখর জামান আর ইমাম-উল হক মিলে ভালোই ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন কিউই বোলারদের বিপক্ষে। লক্ষ্য বড় নয়, এ কারণে তাড়াহুড়াও নেই। সুতরাং, ধীরে-সুস্থেই ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার। দু’জনের ব্যাটে ততক্ষণে গড়ে উঠেছে ৫৪ রানের জুটি। ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন ইমাম-উল হক।

Advertisement

এ সময়, অর্থ্যাৎ ১৩তম ওভারে বোলিং করতে আসেন কিউই পেসার লোকি ফার্গুসন। তার করা প্রথম বলটিই ছিল দুর্দান্ত এক বাউন্সার। বাম-হাতি ব্যাটসম্যান ইমাম-উল হক চেষ্টা করেন পুল করতে। কিন্তু বল গিয়ে লাগে তার হেলমেটের গ্রিলে। আঘাত লাগে চিবুকে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইমাম-উল হক। শুরুতে একটু ঝুঁকে থাকলেও, পরে সটান শুয়ে পড়েন ঘাসের ওপর এবং চোখ বন্ধ করে ফেলেন। তবে ভাগ্য ভালো, অজ্ঞান হয়ে যাননি।

মুহূর্তেই অস্ট্রেলিয়ার প্রায়ত ক্রিকেটার ফিল হিউজের স্মৃতি আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন ইমাম-উল হক। তার অবস্থা দেখে সবাই শঙ্কিত হয়ে যায়। দৌড়ে আসেন অন্য প্রান্তে ব্যাট করতে থাকা ফাখর জামান। দৌড়ে আসেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে অন ফিল্ড আম্পায়ার শোজাব রাজা ডাক্তারকে মাঠের ভেতরে আসতে বলেন। দৌড়ে আসেন ডাক্তার-ফিজিও। ডাক্তার এসে বেশ কিছুক্ষণ তাকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিং রুমে। সেখান থেকে হাসপাতালে।

হাসপাতালে নেওয়ার আগেই অবশ্য কিছুটা নড়াচড়া শুরু করেন তিনি। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেন। তবে, অতিরিক্ত সতর্কতার জন্যই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখা হয় আঘাতের কি অবস্থা। কোনো বড় ধরনের ইনজুরি হয়েছে কি না। সব ধরনের পরীক্ষা শেষে ডাক্তাররা শঙ্কামুক্ত বলে ঘোষণা করেন ইমাম-উল হককে।

Advertisement

তবে, এখনই হয়তো মাঠে ফিরতে পারছেন না ইমাম-উল। তাকে, পর্যবেক্ষণে থাকতে হচ্ছে দলীয় ডাক্তার এবং ফিজিওর। শঙ্কামুক্ত বলা হলেও, যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যপারেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত মাসে দ্বিতীয় টেস্টে আঙ্গুলে আঘাত পেয়েছিলেন ইমাম-উল হক। যে কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। সেই ইনজুরি কাটিয়ে অবশেষে মাঠে ফিরে আসেন ইনজামাম-উল হকের ভাতিজা।

আইএইচএস/এমএস

Advertisement