বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বলেছেন, বাবা-মায়েরাই অটিজম শিশুর প্রধান থেরাপিস্ট। অটিজম শিশুর একজনের সঙ্গে আরেকজনের কোনো মিল নেই। প্রত্যেকেরই ভিন্ন চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী রয়েছে। তাই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে বা যারা (বাবা, মা, ভাইবোন, দাদা-দাদি, নানা-নানী) অটিজম শিশুর সঙ্গে প্রত্যেকটা দিন সময় কাটাচ্ছে, তাদেরকেই সব থেকে বেশি শিখতে হবে, জানতে হবে। চিকিৎসা পদ্ধতির অংশীদার হতে হবে। পিতামাতা তথা পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে অটিজম শিশুর জীবনযাত্রায় সার্বিক মানোন্নয়ন করা সম্ভব।সোমবার আইসিডিডিআর’বির সাসাকাওয়া অডিটরিয়ামে ‘রিসার্চ ফর অটিজম : অ্যাসেসমেন্ট অব মেন্টাল হেলথ স্ট্যাটাস এমং কেয়ারগিভারস্ অব চিলড্রেন উইথ অটিজম অ্যান্ড ফিজিবিল্যাটি অফ ক্রিয়েটিং এ কমিউনিটি বেইজড সাপোর্ট সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী তনয়া আরো বলেন, একটি অটিজম শিশুর সুচিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের থেরাপি- অকুপেশনাল, হেভিবিয়ার, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ও ফিজিক্যাল ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের চাহিদা অনুপাতে চিকিৎসক ও থেরাপিস্টের সংখ্যা অপ্রতুলতা রয়েছে। প্রত্যেক অটিজম শিশুর আগ্রহ, মেধা ও বুদ্ধিমত্তায় ভিন্নতা থাকায় ধৈর্য ও সময় নিয়ে নানামুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপনের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হয়। চিকিৎসক ও থেরাপিস্টের ভূমিকা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাবা মায়েরাই তাদের শেষ ভরসা। আইসিডিডিআরবির গবেষণায় বলা হয়, অটিজম শিশুর অভিভাবকদের (বাবা-মা) শতকরা ২৭ ভাগ মানসিক অবসাদে ভোগেন। সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আইসিডিডিআরবির গবেষণা অটিজম শিশুর অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তিনি গ্রামে-গঞ্জে সুযোগ বঞ্চিত অটিজম শিশুর দরিদ্র ও অশিক্ষিত বাবা-মায়েদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এমইউ/একে/এসএইচএস/এমআরআই
Advertisement