জাতীয়

‘জোটগতভাবে নির্বাচন করলে ৩ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে হলে ৩ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মত নিবন্ধন হারানো দল বা ইসিতে নিবন্ধিত নয়- এমন রাজনৈতিক দলও নির্বাচন করতে পারবে। তবে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন ও তাদের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে হবে ।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি ।

অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারবেন কি-না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি আইনে নেই। কিন্তু কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যদি কোনো অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীকে নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেয়, তাহলে তো আমরা বাধা দিতে পারব না।

Advertisement

নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের সদস্যরা স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে কি-না, বা ইসি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা অন্য কোনো দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে আটকানোর মতো আইন বাংলাদেশে নাই।

তিনি জানান, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে ৩ দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। আজই (শুক্রবার) দলগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হবে।

নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে সচিব বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আগাম প্রচার-প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর।

Advertisement

গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেন। সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ করতে বদ্ধপরিকর ছিল নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানায় ইসি।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এইচএস/এমএমজেড/এমএস