আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ১০ বছর আগে। ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর দেশের জার্সিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। শেষ ওয়ানডে খেলেছেন তারও দুই বছর আগে। ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর গত ১০ বছর টানা ঘরোয়া ক্রিকেট লিগগুলো খেলে গেছেন। বিশেষ করে লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেট।
Advertisement
এবার পুরোপুরি ক্রিকেটকে ছেড়ে দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। সিলেটের হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। জীবনের শেষ ইনিংসে খেললেন ৮৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে খেলেছেন ২৪টি টেস্ট এবং ৪৩টি ওয়ানডে। ২৪ টেস্টে ২৫.৯৩ গড়ে রান করেছেন ১১৪১। সেঞ্চুরি নেই, হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। আর ৪৩ ওয়ানডেতে ২৩.৯২ গড়ে রান করেছেন ১০০৫। সেঞ্চুরি ১টি, হাফ সেঞ্চুরি ৬টি। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন ১৮টি, হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৪৪টি। ১৪৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৬.০৮ গড়ে রান করেছেন ৮৪৮১টি।
ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে কক্সবাজারে এবারের এনসিএলে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই রাজীন সালেহ ঘোষণা দিয়েছিলেন অবসরের। জানিয়েছিলেন ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটিই তার ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ম্যাচ। যে কারণে সিলেটের ম্যাচের দিকে চোখ ছিল সবার। শুধু তাই নয়, শেষ ম্যাচেও দারুণ জ্বলসে উঠেছিল রাজীনের ব্যাট।
Advertisement
প্রথম ইনিংসে ১০০ ওভার ব্যাট করে ২৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট বিভাগ। ওই ইনিংসেও ৬৭ রান করেন রাজীন সালেহ। যা দলের মধ্যে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবদুল মজিদের ১০৪ রানের ওপর ভর করে ঢাকা বিভাগ ৩৪৬ রান করে অলআউট হয়। মোশাররফ হোসেন রুবেল করেন ৫০ রান। ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সিলেট। এবার শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন রাজীন সালেহ। ২২৪ বল খেলে ৮৭ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে জাকের আলি ৭৭ এবং শাহানুর রহমান ৭০ রান করে অপরাজিত থেকে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করার পর নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। ফলে ম্যাচটি হয়ে যায় নিষ্প্রাণ ড্র।
এবারের জাতীয় লিগে দ্বিতীয় স্তরে সিলেট বিভাগ ৬ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে কেবল ১টিতে। ড্র করেছে ১টিতে এবং বাকি ৪টিতে পরাজয়। ২০.১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্তরের শেষ দল হিসেবে শেষ করেছে সিলেট।
Advertisement
অন্যদিকে দ্বিতীয় স্তরে ৬ ম্যাচের মধ্যে ২ জয় এবং ১ ড্রয়ে ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট ২৯.৩৫ নিয়ে অর্জন করেছে শীর্ষস্থান। ফলে আগামী মৌসুমের জন্য প্রথম স্তরে উন্নীতি হয়ে গেলো ঢাকা বিভাগ। অন্যদিকে প্রথম স্তরে ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জয় পায়নি বরিশাল বিভাগ। ড্র করেছে কেবল ২টিতে। ১৪.৬১ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরে চতুর্থ হওয়ার কারণে তারা নেমে গেলো দ্বিতীয় স্তরে। আগামী মৌসুমে বরিশাল খেলবে দ্বিতীয় স্তরে।
আইএইচএস/এমএস