অনেক দিন থেকেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ঢাকাই সিনেমা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেহানা জলি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী প্রায় দেড় বছর থেকে কোন কাজ করতে পারছেন না। আর্থিক সংকটের কারণে চিকিৎসারও কোনো অগ্রগতি হচ্ছিলো না তার। নিরুপায় হয়েই প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চেয়েছিলেন রেহানা জলি। আনন্দের সংবাদ হলো সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রীর চিকিৎসা করতে প্রধানমন্ত্রী তার হাতে ২৫ লাখ টাকার অনুদান তুলে দিয়েছেন ।
Advertisement
সহযোগীতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রেহানা জলি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অসাধারণ একজন মানুষ। তিনি অসহায়দের সহায় জানতাম বলেই আমার চিকিৎসার জন্য সহায়তা চেয়েছিলাম। আজ সকাল সাড়ে আটটায় তিনি আমাকে গণভবনে ডেকে পাঠান। সেখানেই আমার হাতে ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দিয়েছেন। আমার জীবনে সবচেয়ে বড় উপকারটা তিনিই করলেন। কারণ অর্থাভাবে আমার চিকিৎসাইতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে চিকিৎসা শুরু করতে পারবো। সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারবো।’
রেহানা জলির অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার সংবাদ জেনেই তার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন শিল্পী ঐক্যজোটের সভাপতি ডি এ তায়েব ও সংগঠনটির সেক্রেটারি জিএম সৈকত। এই দুইজনকেও কৃতজ্ঞতা জানান জলি।
উল্লেখ্য, প্রায় চারশোরও অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন জলি। মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনেক চলচ্চিত্রে। শুধুমায়ের চরিত্রেই নয়, নায়ক রাজ রাজ্জাক,আলমগীরের মতো নায়কদের নায়িকা চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
Advertisement
কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে রেহানা জলির যাত্রা শুরু হয়। অভিনয়ে জলি এতোটাই পারদর্শী ছিলেন যে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই ১৯৮৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ‘মা ও ছেলে’র পর রেহানা জলি ‘নিষ্পাপ’, ‘বিরাজ বৌ’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’সহ আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়মিতই অভিনয় করে গেছেন তিনি। সুস্থ হয়ে আবারও ফিরতে চান অভিনয়ে।
এমএবি/এলএ/পিআর