আবারও সিএনএনের এক সাংবাদিকের হোয়াইট হাউসে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তার প্রেস পাস বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের পরই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই সাংবাদিক প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করতে চাইছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসের এক কর্মী তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন।
Advertisement
এর আগেও সিএনএন-এর সাংবাদিককে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ট্রাম্পকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করায় কেইটলান কলিন্স নামে সিএনএনের এক সাংবাদিকের হোয়াইট হাউসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, সিএনএন-এর এক রিপোর্টারের হোয়াইট হাউসে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে কারণ তিনি হোয়াইট হাউসের এক কর্মীকে তার কাজে বাধা দিয়েছেন।
বুধবার হোয়াইট হাউসে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হোয়াইট হাউসে সিএনএন-এর প্রধান সংবাদদাতা জিম একোসটা।
Advertisement
তিনিও প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তার হাত থেকে মাইক্রোফেন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি বাধা দেন এবং আবারও প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন। তার এমন আচরণকে অভদ্র এবং ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এক টুইট বার্তায় সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, হোয়াইট হাউস কখনই তার কর্মীদের সঙ্গে একজন রিপোর্টারের এমন আচরণ সহ্য করবে না। হোয়াইট হাউসের ওই নারী কর্মী তার কাজ করছিলেন কিন্তু ওই রিপোর্টার তার কাজে বাধা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে সিএনএন-এর কর্মীরা যেমন আচরণ করেন তা নিয়ে তারা গর্বিত। কিন্তু এটা শুধুমাত্র বিরক্তিকরই নয় বরং তা সবার জন্যই অপমানজনক এমনকি ওই নারী কর্মীর জন্যও যিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আরও বলেন, আজকের এই ঘটনার পরে হোয়াইট হাউস ওই রিপোর্টারের প্রেস পাস বাতিল করেছে।
এই ঘটনার পর হোয়াইট হাউসে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রধান সংবাদদাতা পিটার বেকার এক টুইট বার্তায় বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে আমি হোয়াইট হাউসে সংবাদ কভার করছি। কিন্তু কখনও এমন ঘটনা দেখিনি। অন্য কোন প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রশ্ন করার ব্যাপারে এভাবে ভয় দেখায়নি।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম