ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন, অযোধ্যায় হিন্দু দেবতা রামের একটি বিশালাকার মূর্তি তৈরির পরিকল্পনার চূড়ান্ত নিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মন্দিরের ভেতরে স্থাপন করা এই মূর্তি ভবিষ্যতে অযোধ্যার কেন্দ্রীয় আকর্ষণ হয়ে উঠবে।
Advertisement
বুধবার (৭ নভেম্বর) সকালে অযোধ্যার বিতর্কিত সেই ভূমিতে (যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল) অবস্থিত রামচন্দ্রের অস্থায়ী মন্দির পরিদর্শকালে যোগী আদিত্যনাথ এ ঘোষণা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) ফৈজাবাদ শহরে নাম বদল করে ‘অযোধ্যা’ রাখেন তিনি। একই সঙ্গে ঘোষণা করেন, রামচন্দ্রের নামে বিমানবন্দর এবং রামচন্দ্রের পিতা দশরথের নামে একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রায় তিনদশক আগে থেকে বাবরি মসজিদের চত্বরেই রাম মন্দির তৈরি করতে হবে -এমন দাবি তুলে এসেছে বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। তা নিয়ে আইনি জটিলতা সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে। এখন হঠাৎ করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিলেন। তবে বিতর্কিত ভূমিতে নয়, মন্দিরের জন্য চলছে নতুন জায়গা বাছাই।
Advertisement
এদিকে এই সময়ে কেন রামমন্দির ইস্যুকে নতুন করে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো? বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
এ বিষয়ে বিসিসি বাংলাকে কলকাতার আজকাল পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক অরুন্ধতী মুখার্জী বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি নিজেকে ভারতের একজন ত্রাতা হিসাবে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু চার বছর পরে দেখা যাচ্ছে বলার মতো সে রকম কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই তার হাতে নেই। সে জন্যই এতদিন পরে রামমন্দির ইস্যুকে তারা তুলে নিয়ে আসছে -যাতে সাধু-সন্ত, আর এস এস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় হিন্দুদের ভোট একত্র করা যায়।’
দিল্লির সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী বলেন, ‘মূল উদ্দেশ্য লোকসভার ভোট। মোদি যুবকদের কর্মসংস্থানের ওপরে খুব জোর দিয়েছিলেন, কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে পরিস্থিতি ভালো নয়। সে জন্যই পুরনো, পরিচিত এবং পরীক্ষিত পথে হিন্দু ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে ভোটের বৈতরণী পেরুতে চাইছেন মোদি।’
আরএস/জেআইএম
Advertisement