প্রথম ম্যাচেই লিওনের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন কঠিন করে তুলেছিল ম্যান সিটি। কিন্তু পরবর্তী তিনটি ম্যাচ টানা জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট রাউন্ডে জায়গা করে নিল পেপ গার্দিওলার দল। ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দনেতস্ককে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নকআউট রাউন্ডে ওঠে তারা। সিটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেন হেসুস। একটি করে গোল করেন স্টার্লিং, মাহরেজ এবং সিলভা।
Advertisement
ম্যাচের শুরু থেকে ইতিহাদে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে সিটি। এদিন আগুয়েরো, সানে, মেন্দিদের বিশ্রামে রাখেন গার্দিওলা। ১৩ মিনিটে ডেভিড সিলভার গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ডান পাশ থেকে মাহারেজের দারুণ ক্রসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারের মৌসুমে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
এক গোল দিয়েও যেন গোলের ক্ষুধা মেটে না সিটির। ২৪ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। অবশ্য, রিপ্লেতে দেখা গেছে স্টার্লিং মাটিতে কিক করার কারণে পড়ে গেছেন, যেটা কোনোভাবেই পেনাল্টি ছিল না। স্পটকিক থেকে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল আদায় করে নেয় ম্যান সিটি। এবার মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দুজনকে কাটিয়ে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দারুণ এক গোল করেন রহিম স্টার্লিং। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে তখনই কার্যত ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।
Advertisement
৭১ মিনিটে ডেভিড সিলভাকে ডি বক্সে ফাউল করে আবারও সিটিকে পেনাল্টি উপহার দেয় শাখতার ডিফেন্ডাররা। স্পট কিক থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হেসুস। তখনও শেষ হয়নি গোলবন্যার। ৮৪ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজ সিটির হয়ে ৫ম গোলটি করেন।
ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে মাঝমাঠ থেকে দারুণ চিপে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন হেসুস। ৬-০ গোলের জয়ই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে ম্যান সিটির সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
আরআর/বিএ
Advertisement