বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন করতে চায় ২৪টি রাজনৈতিক দল। অসাংবিধানিক কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা কোনো দায় দায়িত্ব নিতে চায় না। কথাগুলো বলছিলেন, ২৪ দলের নেতৃত্বদানকারী নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
Advertisement
এদিকে অাওয়ামী লীগ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এক্সক্লুসিভ নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে উত্তাপ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল সংলাপের মাধ্যমে সে উত্তাপে পানি ঢেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংলাপ করে তিনি তার বিশাল মনের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
বুধবার গণভবনে সংলাপের শেষ দিনে ব্রিফিংয়ে দুই নেতা এসব কথা বলেন।
অাওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটসহ (এনডিএ) ২৪টি রাজনৈতিক দলের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ জন এবং ২৪ রাজনৈতিক দলের ৭২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ওবায়দুল কাদের অারও বলেন, এটা ঐতিহাসিক সংলাপ। ইতিহাসে মাইলফলক। রাষ্ট্রের প্রধান সংলাপ করেছেন এমন নজির নেই। দলের অনেকেই সংলাপের বিরুদ্ধে ছিলাম। ১৫ ও ২১ আগস্টের কুশীলবদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইনি। নেত্রী চেয়েছেন বলেই আমরা সার্বিক সহযোগিতা করেছি।
তিনি বলেন, ৭০টিরও বেশি জোট ও দল এসেছে মোট এই সংলাপে। একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা হবে বলে আগামীকালের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কাদের বলেন, এই সংলাপ ইতিবাচক। শেখ হাসিনা বলেছেন, আলাপের জন্য দরজা খোলা। কিন্তু নির্বাচনকেন্দ্রিক সংলাপ এখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ। ব্যক্তিগত বা অন্যান্য বিষয়ে কথা হতে পারে। বেশিরভাগ দলই স্থিতাবস্থা চেয়েছে। সংসদকে বহাল রেখে নির্বাচন করার পক্ষে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ব্যবস্থার পক্ষে সবাই। নির্বাচন কমিশনকে সরকার সাপোর্ট করবে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ), বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ, বাংলাদেশ সমাজ উন্নয়ন পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট, ন্যাপ ভাসানী, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ), যুক্তফ্রন্ট, গণফ্রন্ট ও প্রগতিশীল জোট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ), বাংলাদেশ সত্যব্রত আন্দোলন, ঐক্য ন্যাপ, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ঐক্যজোট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট, তৃণমূল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি (জেএসপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দ।
Advertisement
এফএইচএস/বিএ