দেশজুড়ে

জৈন্তাপুরে বিজিবির সঙ্গে পাথর শ্রমিকদের সংঘর্ষ, মহাসড়ক অবরোধ

সিলেটের জৈন্তাপুরের আসামপাড়া পাথর কোয়ারিতে মঙ্গলবার বালু-পাথর উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চার শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

Advertisement

বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশও ডেকেছে বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিকরা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয়পাশে যাত্রীবাহী, মালবাহীসহ পর্যটকবাহী শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়েন জনসাধারণ।

পাথর শ্রমিকরা জানান, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একমাত্র পাথর কোয়ারি শ্রীপুর আদর্শগ্রাম। সোমবার দুপুর ১টায় ট্রাকে পাথর লোড করতে যায় বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম ইউনিটের শ্রমিকরা।

পাথর উত্তোলনে ৪৮ বিজিবির শ্রীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা দিলে দু'পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, উপজেলার ডুলটির পাড় গ্রামের আব্দুল হান্নান (৩০), আদর্শগ্রামের সাইফুল আলম (২৮), মো. বিলাল(২৯) ও একই গ্রামের মনজু মিয়া (২৯)। এরা সবাই পাথর শ্রমিক। তাদের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

এ ঘটনার পর দুপুর ২টায় আদর্শগ্রাম এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে পাথর শ্রমিকরা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয়পাশে যাত্রীবাহী, মালবাহীসহ পর্যটকবাহী শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।

অবরোধের খবর পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান ঘটনাস্থলে যান এবং আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

জৈন্তাপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রব জানান, আমাদের সংগঠনের সদস্যরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এছাড়া সংগঠনের শ্রমিক গর্ত হতে কিংবা সীমান্ত হতে বালু পাথর উত্তোলন করে না। তারা শুধুমাত্র ট্রাকে পাথর বোঝাইয়ের কাজ করে। বিজিবির এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং শ্রীপুর ক্যাম্পের সকল সদস্যদের প্রত্যাহার দাবি করে একই সঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসা এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান বলেন, এলাকায় অতীতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আশা করি তাদের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা সুষ্ঠু বিচার পাব। এ বিষয়ে ৪৮ বিজিবির শ্রীপুর ক্যাম্পে একাধিকবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

Advertisement

ছামির মাহমুদ/এমএএস/পিআর