দেশজুড়ে

মাসে ৪২ লাখ ভাগে পাওয়া জেলার ৫ দিনের রিমান্ডে

ট্রেন থেকে মাদকদ্রব্য ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের এবার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Advertisement

দুদকের দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদ।

দুপুরে সোহেল রানা বিশ্বাসকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চান ময়মনসিংহ দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সোহেল রানাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাকার উৎস বের করা হবে। জেলার সোহেল রানা কোথা থেকে, কেমন করে এত টাকা পেলেন তা জানার পর মামলার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

এর আগে জেলার সেহেল রানা বিশ্বাস ভৈরবে গ্রেফতারের পর রেলওয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ডে নেয়। ওই সময় সোহেল রানা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ।

ওসি আবদুল মজিদ বলেন, রিমান্ডে সোহেল রানা জানিয়েছেন ওই দিনের জব্দকৃত ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ছিল চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক ও সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকের। জব্দকৃত আড়াই কোটি টাকা ও ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেকের উৎস সম্পর্কে সোহেল রানা বলেছেন টাকাগুলো কারাগারে মাদক ব্যবসাসহ অবৈধভাবে রোজগার করেছেন।

সোহেল পুলিশকে আরও বলেছেন, চট্টগ্রাম কারাগারে অবৈধভাবে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকা রোজগার হয়। এই টাকার অংশ হিসেবে মাসে ৪২ লাখ টাকা ভাগ পান সোহেল। বাকি দুই কোটি টাকা তার ঊর্ধ্বতন দুই বসকে দেয়া হয়। তবে ওই দুইজন ঊর্ধ্বতন বসের নাম বলেননি সোহেল।

২৬ অক্টোবর দুপুরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে জেলার সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

Advertisement

এ সময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের এক কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক এবং স্ত্রী হোসনে আরা পপি, শ্যালক রকিবুল হাসান ও তার নিজের নামে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ভৈরব থানা পুলিশের এসআই আশরাফ উদ্দিন ভূইয়া বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং ও মাদক আইনে সোহেল রানার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। পরে মানি লন্ডারিং মামলাটি তদন্তের জন্য ময়মনসিংহের দুদকে পাঠানো হয়।

নূর মোহাম্মদ/এএম/জেআইএম