বাংলাদেশ দলের কোচ থাকাকালীনও চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলার ব্যাপারে ছিলেন খুবই কঠোর। তখন তার এই কঠোরতার কারণে হাথুরুকে বলা হতো ‘জাঁদরেল হেড মাস্টার।’ বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেয়ার পরও হাথুরুর সেই কঠোরতা কমেনি। বরং নিজ দেশের ক্রিকেটারদের ওপর রীতিমত কারফিউ জারি করেছেন তিনি।
Advertisement
আক্ষরিক অর্থেই কারফিউ। শৃঙ্খলার ব্যাপারে তার কঠোর অবস্থানকে শ্রীলঙ্কা দলে কারফিউ হিসেবেই বলা হয়ে থাকে। সেই কারফিউ ভঙ্গ করার শাস্তি সরাসরি দল থেকে বাদ এবং তেমনই এক শাস্তি পেয়ে গেলেন লাহিরু কুমারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গল টেস্ট শুরু হওয়ার দুদিন আগের ঘটনা। রোববার সন্ধ্যায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ করেছিলেন লাহিরু কুমারা। যার ফলশ্রুতিতে কঠোর শাস্তি, দল থেকেই বাদ পড়ে গেলেন তিনি। তার পরিবর্তে দলে নেয়া হয়েছে দুষ্মন্তে চামিরাকে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজ থেকেই শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট। এই টেস্টের জন্যই দলে রাখা হয়েছিল লাহিরু কুমারাকে। টেস্টের জন্য প্রস্তুতি শুরুর সময় থেকেই খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা করে সময় এবং শৃঙ্খলাসম্পর্কিত কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। সেই বিধি নিষেধের কারফিউ ভঙ্গ করে বসলেন তিনি এবং এই অপরাধে বাদ পড়লেন দল থেকে।
Advertisement
মূলতঃ দুই মাস আগে থেকেই লঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। গত দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের সময় দানুসকা গুনাথিলাকা এবং জেফ্রি ভেন্ডারসি শৃঙ্খলা সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধ করার পর থেকেই দলের মধ্যে এই কঠোর নিয়ম-কানুন চালু করেন কোচ হাথুরুসিংহে।
কলম্বো টেস্টের সময় গুনাথিলাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হোটেলে নিজের রুমে ফিরতে ব্যর্থ হন। সেন্ট লুসিয়া টেস্টের সময় ভেন্ডারসি পুরো একটি রাতই ছিলেন টিম হোটেলের বাইরে। যে কারণে পরেরদিন লঙ্কান টিম বাসের বিমান বন্দরে যেতে বিলম্ব হয়।
সুরাঙ্গা লাকমালেল পর লাহিরু কুমারাকে সাধারণত বর্তমান লঙ্কান দলে দ্বিতীয় সেরা ফেবারিট পেসার হিসেবে ধরা হয়। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও খেলার সম্ভাবনা ছিল তার। বছরের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ বোলিং করেছিলেন তিনি। ১৯.৮৮ গড়ে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
লাহিরু কুমারার পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া দুষ্মন্তে চামিরা ২০১৬ সালের পর থেকে আর টেস্ট খেলছিলেন না। কিছুটা সময় ছিলেন ইনজুরিতে, কিছুটা সময় অফ ফর্মে।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম