খেলাধুলা

‘ক্রিকেটে এমন হয়, ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে’

প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংটাই একদম কোনঠাসা করে দিয়েছে বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ের ২৮২ রানের জবাবে টাইগাররা অলআউট হয়েছে মাত্র ১৪৩ রানে। সিলেট টেস্টে স্বভাবতই বেশ চাপে স্বাগতিকরা। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস এজন্য তার শিষ্যদের দোষারূপ করতে নারাজ। তার মতে, ক্রিকেটে এমন হয়, ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে ছেলেরা।

Advertisement

কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রানে পিছিয়ে পড়ায় লক্ষ্যটা দাঁড়িয়েছে ৩২১ রানের। বাংলাদেশ অবশ্য বিনা উইকেটে ২৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে। তবে উইকেটের যেমন আচরণ, তাতে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কিছুই।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা ওমন ভুল না করলে এই পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই পড়তে হতো না। কোচ রোডস যে নিজেও হতাশ নন, এমন নয়। তারপরও শিষ্যদের আগলে রাখছেন তিনি। দলের বাজে ব্যাটিং নিয়ে কোচ বলেন, ‘ক্রিকেটে এমন হয়, যেটা হয়তো আপনি চাইবেন না। যারা আউট হয়েছে, তারা সবাই কিন্তু ভালো ব্যাটসম্যান। আমরা নিজেরাই নিজেদের বড় গর্তে ফেলে দিয়েছি। তারাও সেটা জানে। যেভাবে খেলেছে তারা খুব হতাশ। ফ্ল্যাট উইকেটে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া হতাশাজনকই।’

কিন্তু কেন এমন হলো? জিম্বাবুয়ের পেসার টেন্ডাই চাতারার মত, বাংলাদেশ ওয়ানডের মতো ব্যাটিং করতে গিয়েই বিপদে পড়েছে। রোডসও মানছেন তার কথাটা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাদা বলের থেকে বেরিয়ে লাল বলে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। এদিন আমরা সেটা পারিনি। আমার মনে হয়, ড্রেসিংরুমের সবাই এই ভুলটা থেকে বেরোতে চায়। সেটা হবে কি হবে না, জানি না। তবে তারা অবশ্যই চেষ্টা করছে।’

Advertisement

প্রথম ইনিংসে হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এসে অল্প সময়ে মোটামুটি আস্থার পরিচয় দিয়েছেন দুই ওপেনার লিটন দাস আর ইমরুল কায়েস। ১০.১ ওভার তারা পার করেছেন ২৬ রান তুলে।

কোচ তাদের এই ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে আশার আলো দেখছেন। কোচের ভাষায়, ‘তারা ভালো করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, তারা ভালো খেলোয়াড়। তাদের আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। আজ আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি যদি দেখেন, দেখবেন তাদের এপ্লিকেশন অন্যরকম ছিল। যদি আমরা এটা কালও ধরে রাখতে পারি, তবে ম্যাচে ঢুকে যেতে পারব।’

এমএমআর/পিআর

Advertisement