ট্রেন থেকে মাদকদ্রব্য ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।
Advertisement
এর মধ্যে মাদকের মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন সোহেল রানা। পাশাপাশি মানি লন্ডারিং মামলাটি তদন্তের জন্য ময়মনসিংহের দুদকে পাঠানো হয়।
রোববার ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোরগঞ্জ আদালতে সোহেল রানার পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন ময়মনসিংহ দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। আগামীকাল মঙ্গলবার তার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাকার উৎস বের করা হবে। জেলার সোহেল রানা কোথা থেকে, কেমন করে এত টাকা পেলেন তা জানার পর মামলার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
এর আগে জেলার সেহেল রানা বিশ্বাস ভৈরবে গ্রেফতারের পর রেলওয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ডে নেয়।
ওই সময় সোহেল রানা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ।
ওসি আবদুল মজিদ বলেন, রিমান্ডে সোহেল রানা জানিয়েছেন ওই দিনের জব্দকৃত ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ছিল চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক ও সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিকের। জব্দকৃত আড়াই কোটি টাকা ও ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেকের উৎস সম্পর্কে সোহেল রানা বলেছেন টাকাগুলো কারাগারে মাদক ব্যবসাসহ অবৈধভাবে রোজগার করেছেন।
সোহেল পুলিশকে আরও বলেছেন, চট্টগ্রাম কারাগারে অবৈধভাবে প্রতি মাসে আড়াই কোটি টাকা রোজগার হয়। এই টাকার অংশ হিসেবে মাসে ৪২ লাখ টাকা ভাগ পান সোহেল। বাকি দুই কোটি টাকা তার ঊর্ধ্বতন দুই বসকে দেয়া হয়। তবে ওই দুইজন ঊর্ধ্বতন বসের নাম বলেননি সোহেল।
Advertisement
২৬ অক্টোবর দুপুরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে জেলার সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের এক কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক এবং স্ত্রী হোসনে আরা পপি, শ্যালক রকিবুল হাসান ও তার নিজের নামে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এএম/পিআর