সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দায়েরকৃত রিট প্রত্যাহারের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মকর্তারা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা প্রশাসন ভবনের গেট তালাবদ্ধ থাকে। পরে আন্দোলনকারীরা নিজ থেকেই তালা খুলে দেন।জানা যায়, ২০১৩ সালে সিকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহিদুল্লাহ তালুকদার তার মেয়াদে প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেন। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর বিএনপি-জামাতপন্থী ১০জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রিট ভ্যাকেট করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও বর্তমানে তীব্র জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ শিক্ষক কর্মকর্তাদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ছাড় না দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাত থেকে এনে তা প্রদান করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়েরর তহবিল শূন্যের আশঙ্কা করা হচ্ছে।অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রফেসর ডা. জামাল উদ্দিন ভূঁইঞা, প্রফেসর ড. পিয়ু্ষ কান্তি সরকার, প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ শাহা, ডা. মো. মতিউর রহমান, মো. সানোয়ার হোসেন মিয়া, আনিসুর রহমান, মো. সাজিদুল ইসলাম, ড. মো. নির্মল চন্দ্র রায়, ডা. আফরাদুল ইসলাম, রানা রায়, কিশোর কুমার রায় বক্তৃতা করেন।ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিব্রতকর ঘটনা ঘটলে এর দায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিতে হবে বলেও বক্তারা হুঁশিয়ার করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে দায়েরকৃত রিট প্রত্যাহার করে সংকট নিরসনের আহ্বান জানান। অন্যথায় রিটকারীদের সামাজিকভাবে বর্জনের হুমকিও দেন।এদিকে প্রশাসন ভবনে তালাবদ্ধ থাকায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।তবে রিট দায়েরকারী বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর
Advertisement