প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলামের নিকট থেকে কোনো সংবর্ধনা নয়; দোয়া বা শুকরানা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা সংবর্ধনা না, এটা একটা দোয়া, শুকরানা। রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
সরকারের বিভিন্নমন্ত্রী হেফাজতের আমিরকে একসময় ‘তেঁতুল হুজুর’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে সেই তেঁতুল হুজুরের সংবর্ধনা নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোথায় সংবর্ধনা? এটা সংবর্ধনা না, এটা একটা দোয়া, শুকরানা। এখানে দোয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কোনো সংবর্ধনা নিচ্ছেন না। তারাও সংবর্ধনা দিচ্ছেন না।’
রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসাগুলোর ছয় বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ আয়োজিত এই ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা রয়েছে। মাহফিলে সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা শরিক আছেন, আমাদের দলে আছেন, আমরা পরিষ্কারভাবে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি- এ ধরনের আক্রমণাত্মক কথা বলা থেকে যেন সবাই বিরত থাকেন। সবার ক্ষেত্রে এ ধরনের আক্রমণাত্মক কথা বলা যাবে না।’
Advertisement
আজকের এ দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য জেএসসি-জেডিসির পরীক্ষাও পিছিয়ে গেছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময়টাই খুব তাড়া। একদিনে ৩৯টি প্ল্যানিং কমিশনের প্রজেক্ট আসছে। এখন নির্বাচনকে সমনে রেখে আমরা সবাই চাপের মধ্যে আছি। শিক্ষার্থীরা একটু ত্যাগ স্বীকার করবে। এটা একেবারে অনিচ্ছাকৃত। সেজন্য আমরা বলব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিষয়টি সুনজরে দেখবেন।
সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচনের সময়। শুধু সভা-সমাবেশ যেন রাস্তার ধারে না হয় সেটাই দেখতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর। কোনোভাবে রাস্তা বন্ধ করে সভা করা যাবে না।’
এমইউএইচ/এসআর/এমএস
Advertisement