দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর রেল যোগাযোগ বাড়াতে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সিঙ্গেল রেললাইন ডাবল করতে বড় প্রকল্প নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন লাইনে মিটার ও ব্রডগেজ উভয় ধরনের ট্রেন চলাচলে ডুয়েলগেজ নির্মাণ করা হবে।
Advertisement
এ জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষিদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১৪ হাজার ২৫০ কোটি ৬১ লাখ টাকার ‘জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে জিটুজি চুক্তির আওতায় প্রকল্প সহায়তা বাবদ প্রায় পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকা দেবে চীন। বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে দেয়া হবে।
রেলওয়ের প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশন দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন শহর হতে ঢাকাকে সংযোগকারী মেইন লাইনের অংশ। এরমধ্যে ঈশ্বরদী একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন, যা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনা এবং যশোর, রাজশাহী, রংপুর ও উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য শহরেও রেল সেবায় ব্যবহার হচ্ছে। এটি বাংলাদেশে প্রস্তাবিত ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক, সার্ক, সাসেক, বিমসটেক ও বিসিআইএম রুটেরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Advertisement
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদ্যমান লাইনের পাশে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণের মাধ্যমে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করে অধিক সংখ্যক যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন পরিচালনা করা। বর্তমানে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে প্রায় ১৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন রয়েছে। তবে এ অংশে যমুনা নদীর উপর নতুন রেলওয়ে সেতুসহ বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব স্টেশন হতে সেতুর পশ্চিম স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ পৃথক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। তাই নতুন প্রকল্পের আওতায় ১৬২ কিলোমিটার লাইন ডাবল করা হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে-২০১ একর ভূমি অধিগ্রহণ, মেইন লাইন ও লুপ লাইনসহ মোট ১৮৭ কিলোমিটার রেল ট্র্যাক স্থাপন, ১১ কিলোমিটার লাইন পুনর্নির্মাণ, ২০৪টি সেতু নির্মাণ, ২২টি স্টেশন নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ, ২১টি স্টেশানের সুবিধা বৃদ্ধি, তিনটি রোড ওভার ব্রিজ নির্মাণ, অফিস ও আবাসিক ভবন নির্মাণ, সিগন্যালিং ব্যবস্থা স্থাপন ইত্যাদি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত বিদ্যমান লাইনের পাশে ডাবল লাইন নির্মাণ হবে। এতে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির মাধ্যমে এ রুটে অধিক যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালবাহী কনটেইনার পরিচালনা সম্ভব হবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।
এমএ/এএইচ/এমএস
Advertisement