খেলাধুলা

বিশের আগে সাজঘরে চার ব্যাটসম্যান

সিলেটের ন্যাড়া উইকেটে ব্যাটিং করা তেমন কোনো দূরহ কাজ ছিলো না। দেখে শুনে, ধীরে সুস্থে খেললে সহজেই যে রান করা সম্ভব তা দেখিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা।

Advertisement

কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেসবে থোরাই কেয়ার! সফরকারীদের সাদামাটা বোলিংয়ে ব্যাট চালাতে গিয়েই দলীয় বিশ রানের আগে সাজঘরে ফিরে গেছে চারজন ব্যাটসম্যান। রানের খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০ রান। পঞ্চম উইকেটে দলের ইনিংসকে ভদ্রস্থ করার মিশনে মন দিয়েছেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম।

দ্বিতীয় দিন সকালে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ২৮২ রানেই থামিয়ে দেয়ার সুখস্মৃতি নিয়ে নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তাইজুলের ক্যারিয়ারের চতুর্থ পাঁচ উইকেট নেয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ টিকতে দেননি ব্যাটসম্যানরা।

Advertisement

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে হওয়া এক ওভারে বিনা উইকেটে ২ রান করেছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। টেন্ডাই চাতারার নিরীহ দর্শন এক ডেলিভারিতে ডিফেন্ড করেও উইকেটে আঘাত হানা থেকে বিরত রাখতে পারেননি ইমরুল। ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে চমক দেখানো ইমরুল আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান।

নিজের সঙ্গীর বিদায়ের পরে বেশিক্ষণ থাকেননি লিটনও। ইনিংসের নবম ওভারে কাইল জার্ভিসের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।

পরের ওভারে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত বিপদে ফেলে দেন চাতারা। ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত, পঞ্চম বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয় নামে বাংলাদেশের ইনিংসে।

এসএএস/এমএস

Advertisement