আন্তর্জাতিক

ডিসেম্বরেই রাম মন্দিরের কাজ শুরুর দাবি

অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য চাপ দিতে রোববার দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে দু’দিনের সাধু সমাবেশ শুরু হয়েছে। দুই হাজারের মতো সাধু সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। বাংলা থেকেও এসেছেন অনেকে। তাদের সকলেরই এক দাবি, আগামী ৬ ডিসেম্বরেই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের স্থলে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।

Advertisement

দু’দিনের সম্মেলন শেষে সাধুরা সোমবার রাম মন্দির নিয়ে তাদের চূড়ান্ত অবস্থান জানাবেন। কংগ্রেস বলছে, ভোটের আগে রাফালের মোকাবেলায় রাম মন্দিরই মোদির টিকে থাকার একমাত্র অস্ত্র। গত সাড়ে চার বছরে তার বাকি সব হাতিয়ারই ভোঁতা হয়ে গেছে। এটিও তাই হবে।

অযোধ্যার জমি নিয়ে মামলার শুনানি কবে হবে, তা স্থির হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। সুপ্রিম কোর্টে সিদ্ধান্তের পর আরএসএস শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে যেমনটি হয়েছিল, এবার অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্যও সেই রকম তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। রোববারের এই সাধু সমাবেশ যেন তারই ভীত তৈরির চেষ্টা।

আরএসএস থেকে বিজেপিতে আসা নেতা রাম মাধব এ বিষয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছানোয় সমর্থকরা উদ্বিগ্ন। আরএসএস সে কথাই তুলে ধরেছে। তালকাটোরা স্টেডিয়ামের সমাবেশে অনেকেই জোর গলায় বললেন, দেশের মানুষ চাইছে রাম মন্দির। অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। অথচ সুপ্রিম কোর্ট কী করে মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল, অযোধ্যা মামলার দ্রুত শুনানির প্রয়োজন নেই? তারা এই হুঁশিয়ারিও দেন যে, সাধুরা এখনও শান্তি বজায় রেখেছেন। কিন্তু প্রয়োজনে বলিদানেও প্রস্তুত তারা।

Advertisement

রামের জন্মভূমি ন্যাসের সভাপতি রামবিলাস বেদান্তি বলেন, ডিসেম্বরেই রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। মসজিদ হবে লক্ষ্ণৌতে। এর জন্য কোনও অধ্যাদেশেরও প্রয়োজন নেই। পারস্পরিক বোঝাপড়াতেই এই কাজ হবে। বিতর্কিত নেত্রী সাধ্বী প্রাচী বলেন, ৬ ডিসেম্বরই ধুমধাম করে রামমন্দিরের শিলান্যাস হবে। অযোধ্যায় পুরো হিন্দুস্থানের হিন্দুদের জড়ো করে মন্দিরের ঘোষণা করা হোক। তবেই রামমন্দির হয়ে যাবে।

মন্দির নিয়ে বিলম্বে সাধুদের রোষ থাকলেও যে ‘অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি’র অধীনে এই সমাবেশ তথা ধর্মাদেশ চলছে, তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আইনের মাধ্যমেই সরকারকে মন্দির নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে। স্বামী হংসদেবাচার্য, যোগগুরু রামদেবও আইনের পথে মন্দির তৈরির কথা বলেছেন।

টিটিএন/এমএস

Advertisement