দ্বিতীয়বারের মতো সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে এ সংলাপ হবে সীমিত পরিসরে। শনিবার রাতে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানান।
Advertisement
ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন ১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। সেখানে আলোচনা হয়েছিল যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে স্বল্প পরিসরে আরও আলোচনা হতে পারে। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সংলাপের জন্য আগামীকাল (৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীকে আরেকটি চিঠি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং স্বল্প পরিসরে আলোচনা হতে পারে। সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাতে তফসিল ঘোষণা না করা হয় সেজন্য আজ একটি চিঠি দেয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনে। সে বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ থাকবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করব ভবিষ্যতে সংলাপের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা হবে। আমরা মনে করি, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।’ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাতে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই বৈঠকে হয়।
Advertisement
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, আ স ম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্তফা আমিন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত রোববার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠায়।
পরদিনই সংলাপে রাজি হওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত হয় বহু আলোচিত সেই সংলাপ।
তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে কোনো সমাধান না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেন। এর আগে অবশ্য সংলাপ শেষে বের হয়েই মির্জা ফখরুল ‘সন্তুষ্ট’ নন বলে জানান। এইউএ/এমআরএম
Advertisement