দেশজুড়ে

ভূত তাড়াতে ৭টি ছাগল জবাই দিলেন সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ভূত আতঙ্কে দুইদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে কাজে যোগ দিয়েছেন মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ে কর্মরত শ্রমিকরা। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৬ হাজার শ্রমিকের মন থেকে ভূতের ভয় তাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

শনিবার বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উদ্যোগে শিল্প পুলিশ, ফতুল্লা থানা পুলিশ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ভূত তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

ভূতের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের মধ্য থেকে সন্ধান দেয়া এক হুজুরের মাধ্যমে ভূত তাড়ানোর ব্যবস্থা করেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

পরে জৈনক হুজুরের বলে দেয়া পদ্ধতি অনুযায়ী কারখানার ভেতরে সাতটি ছাগল জবাই করা হয়। জবাইকৃত ছাগলগুলো হুজুরের বলে দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী সাতটি মাদরাসায় পাঠানো হয়।

Advertisement

এরপর মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং কারখানায় গিয়ে পৌঁছান বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান। যেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন- মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমল পোদ্দার, বিকেএমইএর জিএম ফারুক, শিল্প পুলিশের সুপার অহিদুল ইসলাম, এএসপি মাহাবুব ও ফতুল্লা থানা পুলিশের ওসি মঞ্জুর কাদের প্রমুখ।

কারখানায় গিয়ে ভূতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেলিম ওসমান। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ শুনেন তিনি।

এদিকে, হুজুরের বলে দেয়া সাতটি মাদরাসা থেকে জবাইকৃত ছাগল নিতে আসা এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যে হুজুর এই কারখানার ভূত তাড়িয়েছেন তিনি মূলত তাবিজ কবজ, ঝাড়ফুঁক করে থাকেন। এর আগেও দুটি গার্মেন্টের ভেতর থেকে ভূত তাড়িয়েছেন ওই হুজুর। ওই সময় গরু জবাই করে ভূত তাড়ানো হয়েছিল।

গার্মেন্ট কারখানা থেকে ভূত তাড়ানোর পাশাপাশি এই ভূতের রহস্য এবং একই হুজুরের আগমনের বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে শিল্প পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন সেলিম ওসমান।

Advertisement

পরে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, ইসলাম ধর্মে ভূত বিশ্বাস করে না। মূলত কোনো ধর্মেই ভূত বিশ্বাস করে না। এমনকি বিজ্ঞানেও ভূত বিশ্বাস করে না। যদিও আমরা ছাগল জবাই দিয়ে ভূত তাড়িয়েছি। এই ছাগলগুলো কী ভূতে খেয়েছে? এর আগে অন্য কারখানায় গরু জবাই করে ভূত তাড়ানো হয়েছে। মালিক মুসলিম হলে ভূতে গরু চায় আর হিন্দু হলে ছাগল চায় তাহলে প্রশ্ন থাকে ভূত আসলে কোন ধর্মের? কাজেই ভবিষ্যতে এসব বিশ্বাস করবেন না।

শাহাদাত/এএম/আরআইপি