খেলাধুলা

মেহেদী হাসানের হিমালয় জয়

ম্যাচ ৯০ মিনিটে গড়িয়েছে। স্কোর বোর্ডে তখন বাংলাদেশ ১:১ পাকিস্তান। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল টাইব্রেকারেই যাচ্ছে ধরে বাংলাদেশ দলের কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ পরিবর্তন করলেন গোলরক্ষক। মিতুল মারমাকে তুলে নিয়ে নামালেন সেমিফাইনালে ভারতবধের নায়ক মেহেদী হাসানকে।

Advertisement

শেষ মিনিটে মাঠে নামা সেই মেহেদী হাসানই হয়ে গেলেন ফাইনালে পাকিস্তানবধের নায়ক। ফাইনালে তিনি উঠলেন আরেক ধাপ উপরে। সেমিতে ফিরিয়েছেন টাইব্রেকারে দুটি শট, ফাইনালে তিনটি। তরুণ এ গোলরক্ষক হিমালয়ের দেশে বুক চিতিয়ে খেলে বাংলাদেশকে করলেন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। দুই ম্যাচে পাঁচটি শট রুখে দিয়ে তিনিই তো বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফরমার।

ফাইনাল ম্যাচে তিনটি দুর্দান্ত সেভ মেহেদী হাসানের। প্রথমটি বাম দিকে ঝাঁপিয়ে, দ্বিতীয়টি ডান দিকে। যে শটে গোল করলে পাকিস্তান ফিরতে পারতো ম্যাচে সেই শট মেহেদী রুখে দিলেন বুকে পাহাড়সম সাহস নিয়ে। হিমালয়ের দেশে বাংলাদেশের এ গোলরক্ষক যেন হিমালয়কেই জয় করলেন অনন্য নৈপূণ্যে।

দেশকে শিরোপা এনে দেয়ার পর বদলি এ গোলরক্ষক আনন্দে যেন কথাই বলতে পারছিলেন না, ‘দেশকে সাফের শিরোপা এনে দিতে পেরে আমি অনেক খুশি। কি যে ভালো লাগছে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। গোলরক্ষক কোচ যেভাবে শিখিয়েছেন সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। কোচদের কথামতো মাঠে খেলে দলকে জেতাতে পেরেছি এতেই খুশি।’

Advertisement

মেহেদীকে হাসানকে পেনাল্টি স্পেশালিস্ট উল্লেখ করে প্রধান গোলরক্ষক মিতুল মারমা বলেছেন, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে। মেহেদী অনেক ভালো গোলরক্ষক। আমরা দেশকে সাফের শিরোপা এনে দিতে পেরেছি অনেক খুশি আমি। কোচরা আমাদের অনেক গাইড করেছেন।’

আরআই/এসএএস/জেআইএম