বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শেষ রাউন্ডের ম্যাচ খেলেই নিজের ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন ৩৪ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।
Advertisement
ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ঐতিহাসিক প্রথম ম্যাচের প্রথম দিন এই ঘোষণা দিয়েছেন রাজিন। সিলেটের আয়োজকদের তরফ থেকে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সম্মানসূচক আমন্ত্রণের অংশ হিসেবে এ ম্যাচ দেখতে এসেছেন তিনি। তখনই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন চলতি এনসিএলের পর ক্রিকেট খেলবেন না তিনি।
২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় রাজিনের। এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচের দ্বাদশ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ২৪টি টেস্ট ম্যাচ ও ৪৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া রাজিন।
শনিবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে রাজিন বলেন, ‘সবার আগে মহান সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তার আশির্বাদের কারণেই আমি ২২ বছর ধরে ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। আপনারা জানেন নযে আমি ৬ বছর বাংলাদেশ দলের হয়েও খেলেছি। আগামী ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এনসিএল ম্যাচটিই আমার খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। এরপর আমি অবসর নিয়ে নেবো।’- কথাগুলো বলার সময় খানিক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
Advertisement
এসময় সংবাদমাধ্যম কর্মীদেরকেও ধন্যবাদ জানান রাজিন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের তথা সকল সংবাদকর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনাদের কারণেই আমি রাজিন সালেহ হতে পেরেছি। আমার পরিবার সবসময় আমার পাশে ছিল। আমি আপনাদের সকলের দোয়া কামনা করছি।’
আর ১৭ দিন পরেই নিজের ৩৫তম জন্মদিন পালন করবেন রাজিন। ১৯৮৩ সালে জন্ম নেয়া রাজিন টিনএজ বয়সে থাকতেই নিজের প্রতিভা দিয়ে নজর কেড়েছিলেন সবার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। পরে মাত্র ২০ বছর বয়সে জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে গড়েছিলেন ইতিহাস।
তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা খুব একটা সুখকর নয় তার। ২৪ টেস্টে করতে পারেননি কোনো সেঞ্চুরি। সাত হাফসেঞ্চুরিতে তার ক্যারিয়ারের মোট সংগ্রহ ১১৪১ রান। ওয়ানডেতে ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে হাঁকিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরি। ৪৩ ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে তার রান ১০০৫।
সে তুলনায় ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফল সিলেটের এ ক্রিকেটার। ১৪৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে হাঁকিয়েছেন ১৮টি সেঞ্চুরি ও ৪২টি হাফসেঞ্চুরি। তার মোট রান ৮৩২৭। ১৪০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা রাজিনের ঝুলিতে রয়েছে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৪টি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। যেখানে তার মোট রান ৩১৫৩।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম