মনের মানুষটির দেখা কোথায় মিলবে তা আমরা কেউই জানি না। হতে পারে অনেকদিনের পরিচিত কাউকেই হঠাৎ ভালোলাগতে শুরু করলো। আবার এমনও হতে পারে অপরিচিত কারো প্রতি অনুভব করতে শুরু করলেন ভালোবাসা। এমনকি ছুটির দিনটি বাদ দিয়ে সপ্তাহের পুরোটা সময় যেখানে কাটে, সেই অফিসেও মিলতে পারে পছন্দের মানুষটির দেখা। কারণ, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরস্পরের ভালোলাগা-মন্দলাগার অনুভূতিগুলো সম্পর্কে জানা যায়। এভাবেই হয়তো ধীরে ধীরে জন্ম নেয় ভালোবাসা। তবে কর্মক্ষেত্রে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর আগে কিছু বিষয় ভেবে দেখবেন-
Advertisement
আরও পড়ুন: পছন্দের পুরুষের সঙ্গে প্রথম দেখায় যা বলবেন না
কোনো কোনো অফিসের নিয়মাবলীর মধ্যেই উল্লেখ করা থাকে অফিস রোমান্স গ্রহণযোগ্য কিনা। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি উল্লেখ করা না থাকলেও অলিখিত নিয়ম থাকে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমকে ভালো চোখে না দেখার। তাই প্রথমেই অফিসের নিয়মকানুনগুলো জেনে নিন, প্রয়োজনে এইচআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি ম্যানেজমেন্টের আপত্তি থাকে তাহলে দুজনের যেকোনো একজন অন্য কোথাও চাকরি খুঁজুন! প্রেম টিকিয়ে রাখা বলে কথা!
প্রেমের কারণে অফিসের কাজের মান কমছে কি? দুজন দুজনকে সারাক্ষণ চোখের সামনে দেখতে পেয়ে বাকিসব ভুলে যাচ্ছেন না তো! একসঙ্গে কাজ করতে গেলে সম্পর্কের প্রভাব কাজে পড়বেই। এখন কথা হলো, আপনি তা ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন না কি নেতিবাচকভাবে? যদি প্রেমকে শক্তি মেনে নিয়ে কাজ করেন তবে আপনার উন্নতি ঠেকায় কে!
Advertisement
অফিসের অন্য সহকর্মীরা আপনাদের বিষয়টি সহজভাবে নাও নিতে পারেন। পেছনে কানাঘুষা, গসিপ হবেই। এসব মেনে নিয়ে সম্পর্কে কতটা অটল থাকতে পারবেন? যদি সবকিছু এড়িয়ে নিজেদের মতো ভালো থাকতে পারেন, তবেই এগিয়ে যান।
সহকর্মী হওয়ার কারণে মনের মানুষটির সঙ্গেই না আবার পেশাগত দ্বন্দ্ব লেগে যায়! তখন শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থায় হাবুডুবু খাওয়াও বিচিত্র নয়। এসবকিছু মাথায় রেখেই সম্পর্কে জড়ান।
আরও পড়ুন: জেনে নিন বিয়ের ক্ষেত্রে বিপদসংকেত কোনগুলো!
আজ প্রেম আছে বলে কালও থাকবে এমন কোনো কথা নেই। নানা টানাপোড়েনে পড়ে সম্পর্কটাই ভেঙে যেতে পারে একসময়। কিন্তু সম্পর্ক ভাঙলেও তো আর চাকরি ছাড়া চলবে না। তখন কোনোরকম মানসিক চাপ ছাড়াই চাকরিটা করতে পারবেন তো? ভেবে দেখুন।
Advertisement
এইচএন/এমএস