আবু জায়েদ রাহী প্রথম বলটা করতে দৌড় শুরু করার আগেই ৫ মিনিট বাজানো হলে বিশেষ ঘণ্টা। লর্ডস আর ইডেন গার্ডেন্সের মত ভেন্যুগুলোতে যেভাবে ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু করা হয় টেস্ট ক্রিকেট, সেই আদলে এবার বাংলাদেশেও ঘণ্টা বাজানো হলো। ‘ফাইভ মিনিট বেলস’ বাজিয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়ে গেলো দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যুর।
Advertisement
৬ শহরে মোট ৮টি টেস্ট ভেন্যুর উদ্বোধন হলো আজ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর আবু জায়েদ রাহীর করা প্রথম বলের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্টের যাত্রা শুরু হয়ে গেলো সিলেটের। দেশের মাটিতে অষ্টম হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১৬তম টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদা লাভ করলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
২০১৪ সালে ১৮ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সিলেটের এই স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টির ৬টি ও চলতি বছরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল এখানে। চার বছরের অভিজ্ঞতা জমিয়ে অবশেষে এবার ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় নাম লিখে ফেললো সিলেট স্টেডিয়াম।
ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বগুড়ার পর ৬ষ্ঠ শহর হিসেবে টেস্ট আঙ্গিনায় যাত্রা শুরু হলো সিলেটের। এর আগে ঢাকায় দুটি (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম), চট্রগামে দুটি (এমএ আজীজ স্টেডিয়াম এবং জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম), নারায়ানগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম এবং খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেস্ট ম্যাচ।
Advertisement
তবে এর মধ্যে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শুধুমাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ২০০৬ সালে। এরপর আর ওই ভেন্যুতে কোনো টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের এমএ আজীজ স্টেডিয়ামে এখন আর কোনো ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয় না। এ দুটি স্টেডিয়াম বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ফুটবলসহ অন্য খেলাধুলাকে।
ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে কেবল দুটি টেস্ট। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি এবং ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে একটি। এখন ওখানে শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলোই অনুষ্ঠিত হয়।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement