খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’জনের টেস্ট অভিষেক

সিলেট টেস্ট শুরুর আগেরদিনই সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সম্ভাব্য সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবেন। এটা আসলে কথার কথা। প্রতিটা ম্যাচের আগেই অধিনায়করা এমন কথা বলে থাকেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে সম্ভাব্য সেরা একাদশটা কিভাবে গঠন করা হবে- সেটাই থাকে সবার বিচার-বিশ্লেষণের বিষয়।

Advertisement

একাদশ গঠনে সবার আগে যে বিষয়টা প্রাধান্য পায় সেটা হচ্ছে উইকেট এবং কন্ডিশন। উইকেট কেমন হবে, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের আচার-আচরণ কেমন হতে পারে- এসব বিবেচনা করেই তৈরি করা হয় টেস্টের একাদশ।

বাংলাদেশ দলে এমনিতেই নেই সাকিব আর তামিম। বড় দুই তারকার অনুপস্থিতিতে তাদের জায়গাটা দখল করতে আসবেন নতুন দু’জন এটাই স্বাভাবিক। তবে উইকেট কেমন এবং সেখানে স্পিনার বেশি রেখে না পেসার বেশি রেখে একাদশ গঠন করা হবে, সেটার দিকেই তাকিয়েছিল সবাই। তাতে দলে নেয়া নতুন চারজনের অভিষেক হচ্ছে কতজনের সেটাও নজরে ছিল সবার।

আজ সকালে সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজার টস করার পরপরই জানা গেলো, বাংলাদেশ দলের হয়ে অভিষেক হচ্ছে দু’জনের। মিডিয়াম পেসার ও কিছু ব্যাটিং করতে জানা আরিফুল হক এবং স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর।

Advertisement

নাজমুল অপুর জায়গাটা হয়েছে মূলতঃ সাকিবের বোলিংটাকে কাভার দেয়ার জন্য। সাকিবের অনুপস্থিতিতে স্লো বাম হাতি অর্থোডক্স স্পিনটা সামলাতে পারবেন তিনি। টেস্টের নিয়মিত স্পিনার তাইজুল ইসলাম তো রয়েছেনই। এছাড়া অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ এখন একাদশের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ।

আরিফুল হককে নেয়া হয়েছে মূলতঃ পেসার যেহেতু একজন নেয়া হয়েছে, আবু জায়েদ রাহী, আরিফুল তাকে ব্যাকআপ করতে পারবে। পেস বোলিংটা তাকে দিয়েও হবে। সঙ্গে ব্যাটিং তো রয়েছেই। এ কারণেই হয়তো বা মোহাম্মদ মিঠুনকে দলে না নিয়ে নেয়া হয়েছে আরিফুলকে। এছাড়া পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে বসিয়ে রাখা হয়েছে তার ইনজুরি প্রবণতার কারণে।

একাদশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে স্পিন বান্ধব উইকেট। সুতরাং, একজন পেসার দিয়েই কাজ চালানো সম্ভব, সঙ্গে আরিফুল রয়েছেন। সুতরাং, মোস্তাফিজকে খেলিয়ে ঝুঁকি বাড়ানোর পক্ষপাতি নন টিম ম্যানেজমেন্ট।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অভিষেক হওয়ার পর এই প্রথম আবারও দলে ফিরলেন উদীয়মান ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে ইমরুলের সঙ্গে রয়েছেন লিটন দাস। টেস্টের নিয়মিত মুখ মুমিনুল হকও ফিরেছেন একাদশে। জিম্বাবুয়ে দলেও অভিষেক হলো একজনের। তিনি হচ্ছেন ব্রেন্ডন মাভুতা।

Advertisement

বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম অপু এবং আবু জায়েদ রাহী।

জিম্বাবুয়ে একাদশ : হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চারি, ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেগিস চাকাভা, ব্রেন্ডন মাতুভা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, কাইল জার্ভিস, তেন্দাই চাতারা।

আইএইচএস/এমএস