হৃদরোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য ডাক্তার ফারহানা মোবিনকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। চিকিৎসা, গবেষণা ও হৃদরোগের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
Advertisement
এই প্রশিক্ষণের ছাত্রী হিসেবে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের গাইনি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা মোবিন অংশ নেন। পরে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য তাকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে অভিনন্দন দিয়ে মহান পেশায় সাফল্য কামনা করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল) ও বরেণ্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, লেখক প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. এম এ মালিক। হসপিটালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্রধান তার সুযোগ্য সন্তান প্রফেসর ডা. ফজিলাতুন নেসা মালিক।
অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা, স্টাফ, প্রশিক্ষণের শিক্ষার্থীরাও। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয় পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে। সম্প্রতি হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে হৃদরোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণের পরীক্ষা ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
প্রফেসর এম এ মালিক বলেন, ‘সেবা মহান কাজ। আপনারা (ডাক্তাররা) আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীকে সেবা দেবেন। শতভাগ মনোযোগ দিয়ে কাজ করবেন ও শেখার চেষ্টা করবেন। তাহলে সফলতা আসবেই। আপনারা যে ধরনের বীজ বপণ করবেন, সে ধরনের ফল ভোগ করতে পারবেন। তাই সফলতার ফল যেন ভোগ করতে পারেন সেভাবে সময়কে কাজে লাগান।’
প্রফেসর ডা. ফজিলাতুন নেসা মালিক উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভালো চিকিৎসক হবার জন্য আপনাদের এই জ্ঞান পিপাসা কোনো দিন যেন শেষ না হয়। আপনারা যেন সফলভাবে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারেন। সেইভাবে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।’
এ সময় বক্তব্য দেন চিকিৎসক ফারহানা মোবিন ও চিকিৎসক মাহফুজ। ডা. মাহফুজ ভুইয়া হাসপাতালের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানান এই প্রশিক্ষণ ও আয়োজনের জন্য।
ডা. ফারহানা মোবিন বলেন, ‘আমাদের দেশে পুরুষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তুলনায় নারীর সংখ্যা এখনো অনেক কম। এই ধরনের আয়োজন নারীদেরকে হৃদরোগে উচ্চতর লেখাপড়া করতে সহযোগিতা করবে। তিনি প্রশিক্ষণ ও আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।’
Advertisement
ডা. ফারহানা মোবিন স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলাটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ‘প্রবাসীর ডাক্তার’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। দেশ-বিদেশের অনেক সংবাদপত্রের লেখকও তিনি।
তিনি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে কিছু দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সামাজিক কাজ-কর্মের পাশাপাশি প্রবাসীদের মুখপাত্র হিসেবে বেশ পরিচিত।
তিনি কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তিনি মরণোত্তর তার দুই চোখ, হার্ট, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, দান করেছেন। তিনি নিয়মিত রক্তদাতাও। এ ছাড়া তিনি জাগো নিউজের কলাম লেখকও। এ পর্যন্ত চারটি বই লিখেছেন।
ডা. ফারহানা মোবিন দেশ-বিদেশের সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন যেন তার মহান পেশার মাধ্যমে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন।
এমআরএম/জেআইএম