সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করল তুরস্ক। বুধবার তুরস্কের প্রধান প্রসিকিউটরের দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও অস্থিরতার মধ্যে প্রথমবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করা হলো।
Advertisement
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয় এবং তার মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে সরিয়ে ফেলা হয়। তিনি সেখানে জরুরি কাগজপত্র নেয়ার জন্য গিয়েছিলেন।
সৌদির রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর শেখ সৌদ আল মুজেবের সঙ্গে বৈঠকের তিনদিন পর এ তথ্য প্রকাশ করেছে তুরস্ক। মুজেব ইস্তাম্বুল ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিলেন তুর্কি প্রধান কৌঁসুলি ইরফান ফিদান। খাশোগি হত্যার বিষয়ে কথা বলতেই তুরস্ক গিয়েছিলেন সৌদির প্রধান কৌঁসুলি।
তুরস্কের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদির প্রধান কৌঁসুলির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা আসল সত্য প্রকাশ করার জন্য খোলা মন নিয়ে বৈঠকে বসেছি। তবে বৈঠক থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট ফল পাওয়া যায়নি।
Advertisement
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে খ্যাতনামা সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যা করা হয়। গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর থেকে রোষানলে পড়েন ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি। তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে যুবরাজের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লিখেছিলেন খাশোগি। অভিযোগ রয়েছে, যুবরাজের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে মরদেহ হস্তান্তরের দাবি উঠেছে। তার স্বজন ও বন্ধুরা বলছেন, তারা খাশোগির লাশ চান। তাকে দাফন করতে চান। অপরদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে সৌদি। এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিটিএন/আরআইপি
Advertisement