সিনিয়র সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রবীর সিকদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় তাকে ডিবি হেফজাতে নেয়া হয় বলে ডিএমপি সূত্র জানায়। তবে পরে জানা যায় তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে আইসিটি আইনে একটি মামলা হয়েছে।রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে প্রবীরকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছেলে সুপ্রিয় সিকদার। সুপ্রিয় জানান, বাবাকে তুলে নেয়ার পর মোটরসাইকেলে পিছু নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে যাই।পরে প্রবীর সিকদারের তার ছোট ভাই, স্ত্রী ও দুই ছেলে। দেখা করেন। সুপ্রিয় ডিবির এক এডিসির বরাত দিয়ে বলেন, ‘বাবাকে রাতে ওখানে নাকি থাকতে হবে।`এর আগে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুন্তাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, “তিনি তার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন এবং পুলিশ তাকে সহায়তা করছে না এমন একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডেকে আনা হয়েছে। পুলিশ তার কাছে জানতে চাইছে, কী কারণে তার জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।”পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এবং দৈনিক বাংলা ৭১ নামের পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি এর আগে সমকাল ও কালেরকণ্ঠে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে অভিযোগ করে ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। এ কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লেখা এবং প্রবীর সিকদার প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকের নিজের পেইজে স্ট্যাটাস লিখেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি নিজের জীবন নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। একারণে তাকে আটক করা হতে থাকতে পারে।প্রবীর সিকদারের ছোট ভাই পীযূষ সিকদার বলেন, “উপর মহলের চাপেই দাদাকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছেন।সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ফরিদুপরে আইসিটি আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।এ ব্যাপারে পুনরায় ডিএমপির উপ-কমিশনার(মিডিয়া) মুন্তাসিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।জেইউ/বিএ
Advertisement