বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে যুবলীগের দুই সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেছে দলের প্রতিপক্ষরা। আহত একজনকে বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আশোকাঠি হাসপাতালের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন যুবলীগ সদস্য সলিল গুহ পিন্টু (৩৩) ও মাসুদ সরদার (৩০)। এদের মধ্যে পিন্টু গুহের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আহত পিন্টুর ভাই সৈকত গুহ জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারিচুর রহমানের সঙ্গে তার আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এর জের ধরে হারিচুর রহমানের অনুসারী ছাত্রলীগ সদস্য জিয়া হাওলাদারে নেতৃত্বে ৭/৮ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিছন থেকে এসে আকস্মিকভাবে তার ভাই পিন্টুুকে এলাপাথারি কুপিয়ে যখম করে।এসময় আহত হন মাসুদ সরদার নামে যুবলীগের এক সদস্য। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আশোকাঠি হাসপাতালে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পিন্টু গুহকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা বলে ওসি ধারণা করছেন। তিনি অরো জানান, ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌরনদী পৌর মেয়র হারিচুর রহমানের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে শুনেছি। এবিষয়ে তার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ এবং সম্পৃক্ততার কথা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকায় ঠিকাদারী কাজের বিরোধ নিয়ে উপজেলার পৌর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমান হারিচের ভাই গোলাম সরোয়ার ফারুককে মারধর করে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত গুহ পিকলু ও তার অনুসারীরা।এর জের ধরে পৌর মেয়র হারিচুর রহমান হারিচের দুই শতাধিক অনুসারী মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজ, মডার্ন ক্লাবসহ ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর এবং একটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১২ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দিই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল।সাইফ আমীন/বিএ
Advertisement