দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বুধবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আবার দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
Advertisement
এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে পাওয়া টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ছাড় দিয়েছে এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বন্ড বিক্রি করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোম ও মঙ্গলবার ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা পায় শেয়ারবাজার।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে পাওয়া টাকার উপর থেকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ছাড় দেয়ার পর মঙ্গলবার থেকেই সদস্যদের চেক দেয়া শুরু করে ডিএসই। তবে সদস্যদের টাকা পাওয়ার এ সুসংবাদ বুধবারের লেনদেনে দেখা যায়নি।
ডিএসইর একাধিক সদস্য জানান, ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগ করলেও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর একটি অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যে কারণে বাজারে একাধিক সুখবর আসলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
Advertisement
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার মূল্যসূচক ও লেনদেন পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৮৯টি প্রতিষ্ঠান। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দাম।
এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের এমন দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স মঙ্গলবারের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বুধবার ডিএসইতে মোট ৫১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আজ লেনদেন কমেছে ৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
Advertisement
টাকার অংকে বুধবার ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএলের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ৪২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। আর ১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- নূরানি ডাইং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, এসকে ট্রিমস এবং বিবিএস কেবলস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৮১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ৮২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম