জাতীয়

এলপিজির দাম বড় সমস্যা : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বাসা-বাড়িতে রান্নায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দামকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বর্তমান সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে এই দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে।

Advertisement

বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, দুটি স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর, ১০২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং জ্বালানি খাতের একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সম্প্রতি সিন্ডিকেট করে এলপিজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজি প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকারি এলপিজি প্রতিষ্ঠান এনহেন্স করা হচ্ছে, এটাকে অর্গানাইজ করা ও মার্কেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখাত যেন কোনোমতেই সিন্ডিকেশন না হয় এবং দামকে কীভাবে একটা সিস্টেমে নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণ করবে কে, সেটাও একটা বিষয়। আমরা কীভাবে, কীসের উপর ভিত্তি করে দাম নিয়ন্ত্রণ করবো? যারা নিয়ন্ত্রণ করবেন তাদের সেই দক্ষতা আছে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছি। প্রায় এক বছর হয়ে গেছে আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজির দাম সহনীয় পর্যায়ে আসা উচিত। এলপিজি যেহেতু আমদানি নির্ভর জ্বালানি, তাই এর দাম সম্পূর্ণ বিশ্ব বাজারের উপর নির্ভর করে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বৃহৎ আকারের করাপশন এখন আর নেই। সেটা অনেকাংশে কমে গেছে।

Advertisement

তিতাসকে দুর্নীতিমুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে কাজ চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এমএমজেড/আরআইপি