আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা খুব খুশি। সংলাপ রাজনৈতি পরিস্থিতি উন্নয়নকে উৎসাহী করবে বলেই তারা মনে করছেন। তারা খুব আশাবাদী যে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা বোঝাপড়ার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
Advertisement
বুধবার মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি এ্যানিক বর্ডিন এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ দুই দেশের রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে এসেছিলেন। আমি তাদের আমাদের দেশের ইলেকশন পদ্ধতিটা জানালাম। আমাদের দেশের তফসিল ঘোষণার পর যে আচরণবিধি সেটাতে তারা খুব খুশি।’
তিনি বলেন, ‘আচরণবিধির বাইরে মন্ত্রী, এমপি- কাউরো যাওয়ার সুযোগ নেই। আচরণবিধি মেনে নেয়াই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রধান ফোকাস।’
Advertisement
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে দলমত-নির্বিশেষে দেশের অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোও সম্পাদকীয় লিখে সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এটাকে একটি অবিস্মরণীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন সবাই। তবে যারা এর সমালোচনা করছেন সেটাও গণতন্ত্র।’
উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের দেয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সংলাপে বসতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকল্পধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট্রের সঙ্গে সংলাপ করবে ক্ষমতাসীন দল।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
Advertisement
এমইউএইচ/এসআর/পিআর