খেলাধুলা

কাছে গিয়েও টাইগারদের হারের কারণ জানালেন মনোবিদ

ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল অনেক উন্নতি করেছে। তারপরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে। বড় মঞ্চে গিয়ে অনেক সময়ই চাপ নিতে পারছে না টাইগাররা। কারণটা কি? সেটা বের করতেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ক্রীড়া মনোবিদ আলি খানকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। এক সপ্তাহের ক্যাম্পে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তিনি।

Advertisement

এর আগেও ২০১৪ সালে একবার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেছিলেন আলি খান। সেবারের থেকে এবারের বাংলাদেশ দলকে অনেকটাই বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে তার।

কানাডিয়ান এই মনোবিদ বলেন, ‘অনেক উন্নতি হয়েছে। অতীতে তারা কঠিন সময়ে ভেঙে পড়তো। কিন্তু এখন? যদিও আমি বলব না, তারা মানসিকভাবে শতভাগই ঠিক আছে। তবে লক্ষ্য, আত্মবিশ্বাস আর প্রত্যয়ে তারা উন্নতি করেছে।’

উন্নতিই যদি হবে, তবে বড় মঞ্চে গিয়ে কেন বারবার মুখ থুবড়ে পড়া? সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালেও ভারতের কাছে শেষ বলে গিয়ে হারতে হয়েছে টাইগারদের। তবে বারবার এমন হারের কারণেই দলটি 'চোকার' (যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে এমনটা মানতে নারাজ আলি খান। তিনি বলেন, ‘আমি বলব না তারা সবসময়ই চোক করছে। যাদের বিপক্ষে খেলছে, তারাও কিন্তু খুব শক্তিশালি। তাই এটা সবটুকু মানসিকতার ব্যাপার নয়। এখানে টেকনিক্যাল, কৌশলগত এবং অন্য দিকগুলোও আছে। যদি আপনি সবসময় চোকিংই করতেন, তবে এত কাছে যেতে পারতেন না।’

Advertisement

কাছে গিয়েও হেরে যাওয়ার মানসিকতা থেকে বেরোতে হলে কি করতে হবে, সেটিও ঠিক করে ফেলেছেন আলি খান। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি কয়েকবার ব্যর্থ হন, তবে মস্তিষ্ক আরও বেশি ব্যর্থ হওয়ার একটা ধরণ তৈরি করে ফেলে। যে সব দল মানসিক, শারীরিক এবং স্কিলের দিক দিয়ে শক্ত, তারা সাধারণত ছন্দ ধরে রাখতে পারে। এজন্য অনেক মানসিক দৃঢ়তার দরকার হয়। এজন্য দরকার হয় কৌশলেরও, শুধু আত্মবিশ্বাস আর প্রেরণা নয়। আপনার এই অবস্থা থেকে বেরোতে কিছু জিনিস প্রয়োজন। আমি এবার তাদের সেটাই শেখাচ্ছি।’

খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারে সমালোচনা থাকবেই। এই সমালোচনার সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটাও ভীষণ জরুরি বলে মনে করছেন আলি খান, ‘আপনাকে এটা কাটানো শিখতে হবে। আপনি তো সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। যদি আপনি জানেন যে- চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেরাটা দিচ্ছেন এবং সঠিক কাজটিই করছেন, তবে আপনাকে এসব সমালোচনাকে এড়িয়ে চলতে এবং ভুলে যেতে জানতে হবে।’

এমএমআর/পিআর

Advertisement