একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অাগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন অাহমদ। বুধবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে তিনি এ তথ্য জানান।
Advertisement
ইসি সচিবের সভাপতিত্বে বুধবার বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে ২৩টি মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের প্রতিনিধিসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
নির্বাচনের প্রস্তুতির ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, এই নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। নির্বাচনী মালামাল জেলায় জেলায় পৌঁছানো ও ব্যালট পেপার ছাপানো ছাড়া প্রায় সব কাজ শেষ হয়েছে। তাছাড়া ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনাও অামাদের অাছে। তফসিল ঘোষণার পর সকল নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে বাধ্য।
চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মনোনয়ন দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচারের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০-৪৫ দিন ব্যবধান রাখা হয়ে থাকে। ইসি সূত্রে জানা যায়, নবম সংসদ নির্বাচনে ৪৭ ও দশম সংসদ নির্বাচনে ৪২ দিন সময় নিয়ে তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি।
Advertisement
সভার আলোচ্য সূচির মধ্যে রয়েছে- ভোট কেন্দ্রের স্থাপনা মেরামত ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কার, পার্বত্য দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনী মালামাল পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা-নেয়ার পদক্ষেপ, নির্বাচনী প্রচার, পর্যবেক্ষক নিয়োগ, পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে সহায়তা, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনা, ঋণখেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাহী হাকিম নিয়োগ, বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, আগাম প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ ও বিবিধ।
ভোট কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, পার্বত্য-দুর্গম এলাকায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা-নেয়া ও মালামাল পরিবহন, নির্বাচনী প্রচার পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা, ঋণখেলাপির তথ্য, আগাম প্রচার সামগ্রী অপসারণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হবে বলেও জানা গেছে।
এইচএস/এএস/আরএস/পিআর
Advertisement