আইপিএলে তার অভিষেকটাই হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেলিভসের হয়ে। সেটা ছিল ২০০৮ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই। এরপর কেটে গেছে ১১টি বছর। এবার চেনা ঠিকানায় ফিরছেন মারকুটে এই ওপেনার। আইপিএলের আসন্ন মৌসুমে ঘরের দলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে তার।
Advertisement
এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন। এখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একই দলে আছেন ধাওয়ান। তবে আগামী মৌসুমে সাকিব হয়তো আর পাবেন না সতীর্থকে।
গত বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনেছিল ধাওয়ানকে। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান নাকি এই পারিশ্রমিকে খুশি ছিলেন না। এজন্যই তাকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানরাইজার্স। তার বদলে তিনজন খেলোয়াড় কিনতে যাচ্ছে তারা। তিন খেলোয়াড় হলেন-বিজয় শঙ্কর (৩ কোটি ২০ লাখ), অভিষেক শর্মা (৫৫ লাখ) আর শাহবাজ নাদিম (৩ কোটি ২০ লাখ)।
২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে প্রথম মৌসুম শুরু করার পর কয়েক বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন ধাওয়ান। সবশেষ তিনি নাম লেখান হায়দরাবাদে। ২০১৩ সালে এই দলে যোগ দেয়ার আগে অবশ্য ডেকান চার্জার্সের হয়েও খেলেছেন এই ওপেনার।
Advertisement
তবে সানরাইজার্সেই সবচেয়ে সফল ধাওয়ান। এই দলের হয়ে ৯১ ইনিংসে ৩৫.০৩ গড় আর ১২৫.১৩ স্ট্রাইকরেটে ২৭৬৮ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এখন পর্যন্ত সানরাইজার্সের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনিই।
২০১৬ সালে সানরাইজার্সের হয়ে শিরোপাও জেতেন ধাওয়ান। যদিও ওই সাফল্যের মূল কারিগর ছিলেন দলটির নিয়মিত অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ধাওয়ানের ভূমিকাও কোনো অংশে কম ছিল না। ওয়ার্নার-ধাওয়ান (২৩৫৭) জুটি আইপিএলের তৃতীয় সফলতম জুটি। তাদের উপরে কেবল আছে ক্রিস গেইল-বিরাট কোহলি (২৭৮৭) এবং এবি ডি ভিলিয়ার্স-কেহলির (২৫২৫) জুটি দুটি।
এমএমআর/পিআর
Advertisement