আন্তর্জাতিক

ক্ষমতা হারাচ্ছেন যুবরাজ সালমান?

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ ব্রিটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার প্রত্যাবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অনেকেই মনে করছেন তিনি ক্রাউন প্রিন্সের জায়গা নিতে পারেন।

Advertisement

প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এমবিএস নামেও পরিচিত। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি কনস্যুলেটে ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের কারণে চাপের মুখে রয়েছেন এই প্রিন্স। অপরদিকে তার ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদেল আজিজ এতদিন স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।

পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন সৌদি রাজপরিবারে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রিন্স সালমানের জায়গা দখল করে নেয়ার ক্ষমতা রাখেন। রিয়াদে তার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কিছু নিশ্চিত করেনি। এরকম কোন নিশ্চয়তা নাও আসতে পারে।

কী শর্তে তিনি ফিরেছেন তাও স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে তার নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েই তিনি দেশে ফিরেছেন। তবে সৌদি রাজপরিবারের সূত্র থেকেই আভাস পাওয়া গেছে যে, ওই অঞ্চলে প্রিন্স সালমানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে।

Advertisement

খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুধুমাত্র সৌদিতেই নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবেই চাপের মুখে রয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক ছিলেন খাশোগি। সৌদি আরব বলছে, নিয়ম ভঙ্গকারী একদল এজেন্ট তাকে হত্যা করেছে এবং সৌদি যুবরাজের সাথে এ ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে সৌদি।

তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, সৌদি আরবের প্রধান কৌঁসুলিকে বের করতে হবে যে, জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিল এবং হত্যার জন্য ১৫ জনের একটি দলকে কে ইস্তাম্বুলে পাঠিয়েছিল।সৌদি আরবের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি এখন ইস্তাম্বুলে সফর করছেন।

জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যোগ দিতে অনুমতি দেওয়ার জন্যে সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, খাশোগির মৃতদেহ কোথায় আছে সৌদি কর্তৃপক্ষকে সেটা খোলাসা করতে হবে। তার মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হলে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।

টিটিএন/পিআর

Advertisement