মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি ফজলুল হক (৮০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
Advertisement
কারারক্ষী আবু হানিফ জানান, ফজলুল হকের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায়। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার অভিযুক্ত আসামি। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগেও তাকে কয়েক দফা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আজ সকালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এখন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
চলতি বছেরের ২১ মে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফজলুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অসুস্থতার কারণে তাকে পুলিশ প্রহরায় অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে নেয়া হয়।
Advertisement
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ভান্ডারিয়া উপজেলার ৫নং ধাওয়া ইউনিয়নের পূর্ব পশারিবুনিয়া গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ বালা বাদি হয়ে আন্তির্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইনে পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সত্যব্রত সিকদার মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে পাঠিয়ে দেন।
বাদি আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় তার বাবা নিরোধ চন্দ্র বালা, ভাই রণজিত বালা, তার নিকট আত্মীয় সুকুমার মিস্ত্রী, গঙ্গাচরণ, সমূল্য মিস্ত্রী ও অমূল্য মিস্ত্রীসহ ২৬ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তুলেন।
এসআই/এআর/আরএস/জেআইএম
Advertisement