উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইথিওপিয়া। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ৭৯০ কিলোমিটার (৪৯০ মাইল) উত্তরের উইক্রো শহরে আফ্রিকার সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনা রাজা নেজাসি মসজিদটি অবস্থিত। সম্প্রতি তুরস্কের সমন্বয় ও সহযোগিতা সংস্থা (টিআইকেএ) মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন।
Advertisement
মসজিদটি স্থাপনের সঠিক তারিখ জানা না থাকলেও তা ইসলামের প্রথম যুগে নির্মিত এবং আফ্রিকার প্রথম মসজিদ বলে মনে করা হয়। কারণ এ মসজিদটির পাশেই রয়েছে ১৫জন সাহাবার সমাধি। আর সাহাবাদের আশ্রয়দানকারী রাজা নেজাসির নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়।
এ মসজিদটি ইথিওপিয়ার রাজা নেজাসির নামে নামকরণ করা হয়েছিল। রাজা নেজাসি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গী সাহাবাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। যারা মক্কার অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্ত হতে আফ্রিকায় হিজরত করেছিলেন।
মসজিদটি এমন এক মহিমান্বিত স্থানে দাঁড়িয়ে আছে যার পাশেই রয়েছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১৫ জন সাহাবার সমাধি।
Advertisement
মসজিদটি দেখলে মনে হবে না যে এটি আফ্রিকার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ। তা দেখতেই মনে হয় যেন এক বা দুই বছর আগে নির্মিত। মসজিদের সবুজ মিনার ও দেয়ালের দিকে ইঙ্গিত করে এমনটি বলেছিলেন সালেহ নামের এক পর্যটক।এ মসজিদটি অনেক প্রাচীন স্থাপনা ও সাহাবাদের সমাধি থাকায় স্থানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধায় (টিআইকেএ) টিকা এ ইসলামি ঐতিহ্য সংরক্ষণে এগিয়ে আসে। সম্প্রতি মসজিদটি ইউএস এম্বেসির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে।
আরও দেখুন > কাঁচের তৈরি এ কেমন মসজিদ!
প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক এ মসজিদটি দেখতে আসে উইক্রো শহরে। যারাই আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া ভ্রমণে আসে, পর্যটন কর্তৃপক্ষ সবাইকেই এ মসজিদটি পরিদর্শনে পরামর্শ দিয়ে থাকে।আফ্রিকার এ প্রাচীন নেজাসি মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করায় তুরস্কের ইসলামিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থা টিকা’কে (টিআইকেএ) ধন্যবাদ জানান মসজিদটির বর্তমান ইমাম আলি মোহাম্মদ ইবরাহিম।
ইমাম আলি মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, মসজিদটি দেখতে শুধু মুসলিমরাই নয়, বরং অনেক খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এখানে আসেন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম