খেলাধুলা

দুর্বার মিরাজে ‘ইংলিশ দম্ভ’ চূর্ণ হয়েছিল সেদিন

অভিষিক্ত সাব্বির রহমানের একার লড়াই ছাপিয়ে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট মাত্র বাইশ রানে জিতে সিরিজে লিড নেয় ইংল্যান্ড। নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থেকে অপর প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের অলআউট হতে দেখে উইকেটেই বসে পড়েন সাব্বির। তাকে স্বান্তনা দিতে এগিয়ে আসেন প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যান জো রুট। সাব্বিরকে হয়তো বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন, ‘মন খারাপ করো না, এটাই ক্রিকেট।’

Advertisement

তখন সাব্বিরের মনে কি খেলা করছিলো তা সাব্বিরই ভালো বলতে পারবেন। তবে সাব্বিরের সাথে একই ম্যাচে অভিষেক হওয়া মেহেদি হাসান মিরাজের মনে যে ঘুরছিলো ইংলিশ বধের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তা এখন পানির মতোই পরিষ্কার। যার জের ধরে আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে, ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর তারিখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো অভিজাত টেস্ট ক্রিকেটে হারিয়ে দেয় নাক উঁচু ব্রিটিশদের।

সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার জেওফ বয়কট বাংলাদেশ দলের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘তার মা টাইগারদের বিপক্ষে রান করতেন এবং উইকেট নিতে পারতেন’; সেই বয়কটের দেশকেই মাত্র তিন দিনে হারিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। তাও কিনা মাত্র এক সেশনের ২২.৩ ওভারের মধ্যেই ১০ উইকেট তুলে নিয়ে।

সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে ৬টি করে মোট ১২ উইকেট নেন অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। আগের ম্যাচের সাত উইকেটসহ অভিষেক সিরিজে মোট ১৯ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ডও গড়েন খুলনার এ তরুণ। চলুন ঘুরে আসা যাক সে ম্যাচের স্মৃতির পাতায়:

Advertisement

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের মতো মিরপুরের দ্বিতীয় টেস্টেও খুব ভালো অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রথম দিনে আবার ব্যাকফুটেও চলে যায় বাংলাদেশ। দলীয় এক রানের মাথায় ইমরুল কায়েসের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রান যোগ করেন মুমিনুল হক এবং তামিম ইকবাল।

উইকেটের চারপাশে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মনে হচ্ছিলো ‘ব্যাটিং যেনো ফান’। কিন্তু ১৭১ রানের মাথায় তামিম ১০৪ রান করে আউট হওয়ার পরেই বদলে যায় দৃশ্যপট। মনে হতে থাকে, ‘ব্যাটিং করতে গেলো জান’।

চূড়ান্ত ব্যর্থতা শুরু হয় দলীয় ১৯০ রানের মাথায় মুমিনুল ৬৬ রান করে আউট হলে। ১৯০/২ থেকে আক্ষরিক অর্থেই চোখের পলকে ২২০/১০ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তামিম-মুমিনুল ছাড়া কেবল সাকিব(১০) ও রিয়াদ(১৩) ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক। বাকি সাতজনই ফিরে যান এক অঙ্কের ঘরে।

Advertisement

আগের ম্যাচের ট্র্যাজিক হিরো এই ইনিংসেই বুঝে নেন নির্মম বাস্তবতা। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৬৪* রান করা সাব্বির মিরপুরের প্রথম ইনিংসে সাজঘরে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। নিজের ‘বাইনারি’ স্কোর বজায় রাখেন সাব্বিরের সাথেই অভিষেক হওয়া মিরাজ।

বোলিং করতে নেমে ইংলিশদেরও খুব একটা স্বস্তি দেননি মিরাজ-তাইজুলরা। প্রথম দিন শেষ বিকেলে পঞ্চাশ রানেই ইংলিশদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে নিজেদের ভয়াবহ ব্যাটিংয়ের ক্ষতটা খানিক কমিয়ে নেয় বাংলাদেশ। যার ধারা বজায় থাকে চতুর্থ দিন সকালেও। মিরাজ-তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে টপাটপ ইংলিশদের আট উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। চট্টগ্রামের মতোই চালকের আসনে তখন আমরা। প্রথম ইনিংসে তখনো ৭৬ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। এরপরই শুরু হয় জ্বালাময়ী আদিল রশিদ-ক্রিস ওকস জুটি। আট উইকেটে ১৪৪ রান থেকে নিখুঁত ব্যাটিংয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন রশিদ ও ওকস।

সেখান থেকে আবার ব্যাট হাতে বাইনারিতে আটকে থাকা মিরাজেই রক্ষা। ইনিংসে মিরাজের ষষ্ঠ উইকেটে পরিণত হয়ে আউট হন ওকস। ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় ইনিংসেই দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান সদ্য উনিশ পেরুনো মিরাজ। পরের ওভারেই ফিনকে আউট করে ২৪৪ রানে ইংলিশদের থামান ইনিংসে তিন উইকেট নেয়া তাইজুল।

যেখানে বাংলাদেশের বড় লিড পাওয়ার কথা সেখানে উলটো ২৪ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। প্রথম ইনিংসে ভূতুড়ে ব্যাটিং ভুলতেই হয়তো নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস।

ওকস-রশিদের সেই নবম উইকেট জুটির জ্বালা ভুলতে সাহায্য করছিলো তামিমের সব বাউন্ডারি। কিন্তু হুট করেই দলের ৬৫ রানের মাথায় তামিম ফিরে যান ৪০ রানে। মুমিনুলও উইকেটে না টিকে সাজঘরে ফেরেন এক রান পরেই।

এরপর মিরপুরের দর্শকদের জাগ্রত রাখার দায়িত্ব পুরোটাই নিজ কাঁধে নেন মাহমুদুল্লাদ রিয়াদ। সাথে নিজের কাজ চুপচাপ করছিলেন ইমরুল। দুইজনের অসাধারণ জুটিতে যখনই মনে হচ্ছিলো ভালো অবস্থানে থেকে দিনশেষ করবে তখনই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হলো মতিভ্রম। মনে হলো যেনো দিনের শেষ বলে ম্যাচ জিততে ছয় রানের প্রয়োজন।

ব্যস! যেই ভাবা সেই কাজ। অভিষিক্ত জাফর আনসারির ফুল লেন্থের এক ডেলিভারিতে রিয়াদ চেষ্টা করলেন সুইপ করতে। কিন্তু পৌঁছলেন উদ্ভট এক পজিশনে, হয়ে গেলেন বোল্ড। সাথে সাথে অপমৃত্য ঘটে ৪৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংসের, ভেঙে যায় ৮৬ রানের জুটি, শেষ হয় চালকের আসনে থেকে দিনশেষ করার সম্ভাবনা। মাহমুদউল্লাহ ফিরে ফেলেও ৫৯ রান করে তখনো অপরাজিত ইমরুল।

দুইদিনেই শেষ ম্যাচের ৫৭.৫ শতাংশ খেলা। সাত উইকেট হাতে নিয়ে ১২৮ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে চাও তো তৃতীয় দিনের পুরোটা ব্যাট করো কিংবা আবারো নিজেদের হেলায় ম্যাচ দিয়ে দাও প্রতিপক্ষকে- সমীকরণ ছিলো এমনটাই। তবে উইকেটে মাত্রাতিরিক্ত স্পিন থাকায় ২৫০ রানের লিডই যথেষ্ঠ হবে বলাবলি হচ্ছিলো।

তৃতীয় দিন সকালে সেলক্ষ্যে ভালোই শুরু করেন ইমরুল এবং সাকিব। কিন্তু ‘বাংলাদেশের জামাই’ মঈন আলির স্পিনে সুইপ করতে গিয়ে দলীয় দুইশো রানে এলবিডব্লিউ হন ইমরুল। খেলেন ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এরপর দেশসেরা জুটি সাকিব-মুশফিক এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দুইজনের ৩৮ রানের জুটিটা লিড দুইশো পার করায়।

কিন্তু ২৩৮ রানের মাথায় সাকিবের বিদায়ের পরেই আবারো চলে আসে প্রথম ইনিংসের ভূত। কয়েক ওভারেই মাঝেই ২৩৮/৪ থেকে ২৯৬/১০ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। সাকিব ৪১ করে আউট হওয়ার পর সাব্বিরের ১৫ আর শুভাগত হোমের অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংসে টাইগারদের ২৭২ রানের লিডে শেষ হয় ম্যাচের ৭৫ শতাংশ খেলা।

তখনো ম্যাচের বাকি প্রায় ২৩০ ওভারের খেলা। সফরকারীদের জয়ের জন্য ওভারপ্রতি এক রানের চেয়ে একটু বেশি করে মোট ২৭৩ রান করলেই হবে। অন্যদিকে স্বাগতিকদের চাই পুরো দশটি উইকেট। এখানে উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ইংলিশদের দেয়া ২৮৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেমেছিলো ২৬৩ রানে। গুড়েবালি

তাই প্রায় একই আচরণের উইকেটে ২৭২ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরেও ছিলো জয়ের আশা। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি দিতেও যেনো প্রস্তুত ছিলেন পুরো সিরিজে তেমন কিছু করতে না পারা অ্যালিস্টার কুক এবং বেন ডাকেট। তৃতীয় দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ২৩ ওভার ব্যাট করে প্রায় সাড়ে চার রান রেটে পাক্কা ১০০ রান করে ফেলে ইংল্যান্ড। যেখানে তাদের চাহিদা ছিলো ওভারপ্রতি মাত্র এক রানের চেয়ে কিছু বেশি। বিনা উইকেটে ১০০ রান করে স্বস্তি নিয়েই চা পানের বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

অন্যদিকে বাংলাদেশের আকাশে তখন আবারো আরেকটি জেতার সুযোগ থাকা ম্যাচ হারের মেঘ ঘুরঘুর করা শুরু করেছে। টি ব্রেকের বিরতিটা হয় মাত্র বিশ মিনিটের। এই বিশ মিনিটে পুরো একটা দলকে পুনরায় জয়ের জন্য ঝাপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা এনে দেয়ার দায়িত্ব তখন টিম ম্যানেজম্যান্টের উপর।

কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্ট করলো অদ্ভুত এক কাণ্ড। খুব সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ঘটনা! যেখানে একটি ম্যাচ চলাকালীন ম্যাচের নিয়মিত অধিনায়ক সম্পূর্ণ ফিট থাকার পরেও অধিনায়ককে বলা হয় তুমি আর এই ম্যাচের ক্যাপ্টেন নও, এই ম্যাচের বাকি পথ সামলাবে সহ-অধিনায়ক।

এমন ঘটনায় দলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও দলের সবার মধ্যে বোঝাপড়া এবং ভাতৃত্ববোধটা সুদৃঢ় বলেই হয়তো বিরতি থেকে ফিরে প্রথম বলেই একশো রানের জুটি ভেঙে দেন তরুণ মেহেদি মিরাজ। সাজঘরে ফিরে যান মাত্র ৬৩ বলে ৫৭ রান করা বেন ডাকেট।

শেষ সেশনে মিরাজের এমন দারুণ সূচনার পর অপরপ্রান্তে ঠিক যা প্রয়োজন ছিলো তা খুব ভালোভাবেই করেন সাকিব আল হাসান। ইংলিশদের সেরা ব্যাটসম্যান জো রুটকে ফেরত পাঠান মাত্র এক রানেই। অপরপ্রান্তে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে নিজের ফিফটি তুলে নেন অ্যালিস্টার কুক।

তৃতীয় উইকেটে গ্যারি ব্যালেন্স এবং কুক মিলে নিজেদের ইনিংসের ‘ব্যালেন্স’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও তাদের সফল হওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান অভিষিক্ত মিরাজ। বেশিদূর যাওয়ার আগেই ব্যালেন্সের ব্যালেন্স নষ্ট করে দেন তিনি। ১২৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

তখনো জনি বেয়ারস্টো, কুক, বেন স্টোকস, মঈন আলিরা থাকায় তেমন কোনো চিন্তা ছিলো না ইংলিশ শিবিরে। কিন্তু নিজের পরের ওভারেই ইংলিশ অধিনায়ক কুক, মিরাজের ইনিংসে তৃতীয় এবং ম্যাচে নবম শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে ম্যাচে সমতা ফিরতে থাকে।

ওই একই ওভারে মিরাজ ফেরত পাঠান মঈন আলিকে। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্টেই তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ম্যাচে দশ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়ে ফেলেন মিরাজ। মঈন আলির চার ওভার পর বেয়ারস্টোকে আউট করার মাধ্যমে মাত্র চতুর্থ ইনিংসেই তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়ে ফেলেন মিরাজ।

অপরপ্রান্তে বোলিংয়ে থেকে এতোক্ষণ ধরে ছোট হাসানের কীর্তি দেখছিলেন বড় হাসান, মি. সাকিব আল হাসান। ততক্ষণে সপ্তম উইকেটে ২২ রানের জুটি গড়ে ইংলিশদের বাঁচার পথ খুঁজে বের করার পথে ছিলেন বেন স্টোকস এবং আদিল রশিদ।

এটা মেনে নিতে পারেননি সাকিব। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে স্টোকসকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল করেন সাকিব। আর আউট হওয়ার আগের এবং পরের কোনো দৃশ্যের কিছুই হয়তো বুঝতে পারেননি স্টোকস।

কিভাবে নিজের ডিফেন্স গলে বলটা অফস্টাম্পে আঘাত হানলো তা বুঝতে স্টোকসের বেশ সময় যে লেগেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এরপরের ঘটনা অর্থাৎ আউট হওয়ার পরে সাকিব আল হাসানের সেই উদযাপন কখনোই ভুলবেন না স্টোকস।

ইংলিশদের পুরো সফরে শেষবারের মতো স্টোকসকে আউট করে একদম কেতাবি ভঙ্গিতে স্যালুট ঠুকে দেন সাকিব। যেনো জানিয়ে দেন, ‘ধন্যবাদ, আবার আসবেন’।

স্টোকসের বিদায়ের পর বাকি তিন উইকেট নিতে খরচা হয় মাত্র তিন রান। রশিদ এবং আনসারিকে সাকিব আউট করার পর ফিনকে আউট করে ম্যাচের উইনিং স্ট্রোকটা খেলেন মিরাজই। যেমনটা তিনি খেলেছেন নিজেদের শততম টেস্টের ঐতিহাসিক জয়ে। এবং একইসাথে পুরো ইংল্যান্ড দলকেই তিনি বুঝিয়ে দেন, ‘হ্যাঁ, এটাই ক্রিকেট’।

বিনা উইকেটে ১০০ থেকে ১৬৪ রানে ইংল্যান্ডকে অলআউট করতে বাংলাদেশ সময় নেয় দেড়ঘণ্টার কিছু বেশি, প্রয়োজন পড়ে মাত্র ২২.৩ ওভার। যেখানে ২৭৩ রান তাড়া করতে ইংলিশদের হাতে ছিলো প্রায় ২৩০ ওভার, সেখানে মাত্র ৪৫.৩ ওভারে তাদের অলআউট করে তিনদিনের ভেতরেই অবিস্মরণীয় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পূর্ণশক্তির বড় দলের বিপক্ষে প্রথম জয় ছিলো এটি। যার সাহস ধরে পরে শ্রীলংকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।

এসএএস/জেআইএম