সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সোমবার বিকেলে ডিভিশন সুবিধা দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ডিভিশন দেয়ার ফলে তিনি বর্তমানে প্রথম শ্রেণির বন্দিদের সুবিধা ভোগ করছেন। একই সুবিধা ভোগ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
Advertisement
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরাণীগঞ্জ) জেলার মাহবুব আলম সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশের কাগজপত্র হাতে পেয়ে কারাগারে তাকে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে। দেয়া হয়েছে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ডিভিশনপ্রাপ্ত মইনুল কারাগারে আসবাবপত্র হিসেবে একটা টেবিল, একটা খাট, চাদর ও একটা চেয়ার পেয়েছেন। পড়ার জন্য পত্রিকা ও বই দেয়া হয়েছে তাকে। এছাড়াও তার কামড়ায় থাকবে একটি সাধারণ টেলিভিশন ও রেডিও। ব্যবহার্য উপকরণ হিসেবে তিনি সাবান, টুথপেস্ট, আয়না, বালিশ, কম্বল, তোশক, চিরুনি, তেল, জুতা ও তোয়ালে পাবেন।
সম্প্রতি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২২ অক্টোবর রাতে রংপুরের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখা হয় মইনুলকে।
Advertisement
সোমবার সকালে মানহানির মামলায় গ্রেফতার মইনুল হোসেনকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
এআর/বিএ
Advertisement