তখনো বাকি ছিলো ২ উইকেট, স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৫৯, খেলাও হয়েছে শুধু ২৯.৩ ওভার। এমতাবস্থায় হুট করেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়্যুব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনের বাকি সময়ে মাত্র তিন উইকেট হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ, নিয়েছে ১০৮ রানের লিড।
Advertisement
ঢাকা মেট্রোর দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মূলত বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশনে শুরুর সুবিধা কাজে লাগানো এবং অলআউট হয়ে প্রতিপক্ষকে বাড়তি পয়েন্ট না দিতেই এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। তবে প্রতিপক্ষকে পয়েন্ট কম দেয়ার পরিকল্পনা কাজে লাগলেও, উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেননি ঢাকা মেট্রোর বোলাররা।
যে কারণে প্রথমদিন শেষে ৭ উইকেট হাতে রেখে এরই মধ্যে ১০৮ রানের লিড নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। মেট্রোর ৫৯ রানের জবাবে দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৭ রান। মাত্র ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ঢাকার ওপেনার রনি তালুকদার।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকার অধিনায়ক নাদীফ চৌধুরীর আমন্ত্রণে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ঢাকা মেট্রো। বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশনে ঢাকার দুই পেসার সালাউদ্দিন শাকিল এবং অভিষিক্ত সুমন খান মিলে কোণঠাসা করে দেন প্রতিপক্ষকে।
Advertisement
১২ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন সালাউদ্দিন, ১৩.৩ ওভারে ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সুমন। অন্য উইকেটটি নেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। ত্রিশতম ওভারে অষ্টম উইকেট পতনের সাথে সাথে ইনিংস ঘোষণা করে দেন মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়্যুব।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এছাড়া শামসুর রহমান ১১ ও সৈকত আলি ১০ ব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। ঠিক তাদের উল্টো ব্যাটিংই দেখান ঢাকা বিভাগের ব্যাটসম্যানরা।
ভেজা উইকেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৯ ওভারে মাত্র ১১ রান করলেও কোনো উইকেট হারায়নি ঢাকা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রকিবুল হাসান (৯)। দ্বিতীয় উইকেটে ১২০ রানের জুটি গড়েন রনি তালুকদার ও সাঈফ হাসান।
দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত অর্ধশত থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরে যান সাঈফ। একটু পরে ৮৬ রান করে আউট হন রনিও। ১৫৪ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। দিন শেষে শুভাগত হোম ৯ ও তাইবুর পারভেজ ৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
Advertisement
এসএএস/এমএস